২৮দিন বাইকুল্লা জেলে কাটানোর পর অবশেষে জামিনে ছাড়া পেলেন অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তী। বোম্বে হাইকোর্ট থেকে বুধবার সকালে তাঁর জামিনের আবেদনে শিলমোহর দিয়েছন।
১ লক্ষ টাকার বন্ড ও পার্সোপোটের পরিবর্তে বুধবার জামিন মঞ্জুর করা হয় সুশান্ত সিংহ রাজপুতের প্রাক্তন বান্ধবীর। দিদি জামিন পেলেও আপাতত জেলেই থাকছেন ভাই শৌভিক চক্রবর্তী।এর আগে সেপ্টেম্বর ২৯ এ চলেছে সাত ঘন্টার টানা ম্যারাথন সওয়াল-জবাব পক্রিয়া।তারপর বোম্বে হাইকোর্ট থেকে রিয়া চক্রবর্তী ও শৌভিক চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন স্থগিত রেখেছিল।এই ম্যারাথন শুনানি চলেছিল জাস্টিস এসপি কোটওয়াল বেঞ্চে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬.৪৫ পর্যন্ত।এইদিন রিয়া ও শৌভিক চক্রবর্তী ছাড়াও এদিন স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ সাওয়ান্ত এবং আবদুল বাসিত পরিহারের জামিনের কথাও বলা হয়।
সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মঘাতী না খুন সেই ঘটনার এখনো পর্যন্ত কোনো মিমাংশা হয়নি।তবু এই মামলার তদন্তের সময় জামিনের আর্জিতে রিয়া জানিয়েছিলেন, ‘সুশান্ত নিজেই একা ড্রাগ নিতেন এমন নয়। বাড়ির বাকি সদস্যদেরও মাদক সংগ্রহ করার জন্য নির্দেশ দিতেন।’ ২০১৫-১৬ তে কেদারনাথের শ্যুটিংয়ের সময় থেকে নাকি তিনি গাঁজা নেওয়া শুরু করেন। তিনি নাকি তাকে বোঝানোর অনেক চেষ্টা করেছিলেন।তবু তিনি ব্যর্থ হন।
রিয়া আরও বলেছেন যে, ‘সুশান্ত যদি আজ বেঁচে থাকতেন যদি ওঁর বিরুদ্ধে ড্রাগ নেওয়ার এই অভিযোগ উঠত তাহলে তাকেও কি জেলে যেতে হতো?’তিনি আরো একটি তথ্য পুলিশকে বলেন,সুশান্ত নাকি তার ভাইকেও সুযোগ পেলেই গাঁজা নিয়ে আসার জন্য নির্দেশ দিতেন। সুশান্তের আত্মঘাতী হওয়ার ঠিক তিনদিন আগেও তাঁর নির্দেশে একটি বাক্সে গাঁজা ভরে রেখেছিলেন ভাই নীরজ। তাঁর মৃত্যুর পর বেডরুম থেকেই সেই খালি বাক্স পাওয়া যায়।
অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে বাড়ির কর্মচারীরা অভিযোগে জানান,যে চা, কফি জুস-সহ অন্য পানীয়ের সঙ্গে মাদক মিশিয়ে সুশান্তকে দেওয়া হত আর এর পিছনে ছিলেন রিয়া স্বয়ং। বিভিন্ন হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে তাই এসেছে।শুধু তাই এরপরই রিয়া চক্রবর্তীর বাড়িতে চালানো হয় তল্লাসি।তদন্তের পর ল্যাপটপ-সহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করেন পুলিশ। রিয়াকে শিগগিরই জামিন দেওয়া হোক বলে দাবি জানাতে শুরু করেন বলিউডের অভিনেত্রী স্বরা ভাস্কর, অনুভব সিনহা।রিয়া ছাড়া জামিন পেলেন স্যামুয়েল মিরান্ডা ও দীপেশ শাওন।