Gantchhora: দ্যুতির প্রতারনা, সিঁদুরদান সারলেন ঋদ্ধিমান, ঝঞ্ঝাটের সূচনা খড়ির জীবনে!
স্টার জলসার জনপ্রিয় নতুন ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’ দর্শক দলের মনের মধ্যে কৌতূহলের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছে একেবারে। একের পর এক ধুন্ধুমার এপিসোড তাঁদের ঘাড় ফেরাতে দিতে নারাজ। সে দ্যুতির বিয়ের পালা থেকে পালিয়ে যাওয়া হোক বা ঋদ্ধির রুদ্ধশ্বাস ছুটে যাওয়া হোক।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ‘গাঁটছড়া’র-ই একটি প্রোমো রিলিজ করেছে জলসা চ্যানেল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঋদ্ধি ও খড়ির বিয়ে হয়ে গেল, বিয়ের আগের মুহূর্তেই খড়ি যে দ্যুতি নয় তা জেনে গেছেন ঋদ্ধি। খড়িই জানিয়েছেন তাঁকে। দ্যুতির সাথে বিয়ের কথা থাকা সত্ত্বেও ঋদ্ধি কেন বিয়ে করলেন খড়িকে? তাহলে কি দ্যুতিকে বাদ দিয়ে খড়িকেই ভালোবাসেন তিনি?
সামাজিক মতে বিয়ের মণ্ডপে বাঙালির বিয়ে না হলে অপমানের বেশ জ্বালা লাগে। তাই বোধ হয় সত্যিটা জেনেও রাজি হয়ে গেছে ঋদ্ধি খড়িকে বিয়ে করতে। খড়ি অবশ্যই রাজি ছিলনা। বাঁধা দিয়েছিল ঋদ্ধিকে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী তো দোষীই বটে। কিন্তু আসল দোষ যে ঋদ্ধির মেজ ভাই রাহুল আর খড়ির বোন দ্যুতির সেটা জানার পরও কি একইরকম দোষী থাকবে খড়ি ওরফে শোলাঙ্কি !
ঋদ্ধি ওরফে গৌরব বিয়ের মণ্ডপেই খড়িকে জানিয়ে দিয়েছেন ‘ঠকিয়ে বড়লোকের বউ হওয়ার মাশুল দেবে তুমি সারাজীবন’। কি মাশুল আর দেবে মেয়েটা। সেটাই তো দেখবার বিষয়। একি তকমা পেলেন শোলাঙ্কি? সত্যিই কি খড়ি বড়লোককে বিয়ের লোভ সামলাতে পারেননি! একদমই না, মাকে অপমানের জ্বালায় আত্মহত্যা করা থেকে অবিরত করতে বাধ্য হয়েই তিনি মেনে নিয়েছিলেন ঋদ্ধির মত বড়োলোককে বিয়ে করতে। সমাজ যে বিনা দোষেও সবসময় গরিবকে নিচু আসনে বসিয়ে রাখে এখানেই তার প্রমাণ। সিরিয়ালেও বাদ গেল না এই তকমা।