‘উলটে প্যাঁদাও, যাতে সব উগরে দেয়’, আরজিকর কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিষ্ফোরক রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
রাজ্যে কতটা সুরক্ষিত মহিলারা? আরজিকর (RG Kar Medical College Hospital) কাণ্ড নতুন করে উঠে এসেছে এই প্রশ্ন। হাসপাতালের মধ্যেই তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের নির্মম ঘটনায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে পুলিশি তদন্ত নিয়ে। সুর চড়াচ্ছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিনোদন দুনিয়ার ব্যক্তিত্বরাও। এই ঘটনায় এবার ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি দাবি করেছেন, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধৃত সঞ্জয় রায়ের ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, এমন মার মারা উচিত, এমন থার্ড ডিগ্রি দেওয়া উচিত যে সব উগরে দেবে। রূপার কথায়, ‘বাঙাল ভাষায় বলব, উলটে প্যাঁদাও, যাতে সব উগরে দেয়’। এখানেই না থেমে তিনি আরো বলেন, ‘পুলিশকে স্বাধীনতা দিলে সে ভালো কাজ করতে পারে। পুলিশকে গরু বানিয়ে রাখছ। পশ্চিমবঙ্গে সবকিছুতেই রাজনীতি’।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। কোনো রকম রাখঢাক না করেই তিনি বলেন, ‘আমি মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে সহ্য করতে পারি না। আমি তাই বলছি আপনি আপনার ভালো কাজ বজায় রাখুন। যাতে আপনি যেদিন ক্ষমতা থেকে সরবেন, সেদিন যেন আপনার ফলক কেউ ভেঙে না দেয়’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতেই অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আরজিকর এর ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় কলকাতা পুলিশের বেশ প্রভাবশালী একজন সিভিক ভলান্টিয়ার। যদিও শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ কমিশনার এ সংক্রান্ত প্রশ্ন এড়িয়ে যান। লালবাজার সূত্রে খবর, আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হলে, যেখানে ওই তরুণী চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন, সেদিন ভোর রাত ৪ টে থেকে সাড়ে ৪ টের মধ্যে ঘটানো হয়েছিল ওই নৃশংস ঘটনা। তরুণী চিকিৎসক গভীর ঘুমে থাকাকালীন তাঁর উপরে অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। আপাতত অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। সিটের সদস্য সংখ্যা ৭ থেকে ১৬৪ জনে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় সঞ্জয় ছাড়াও আরো কেউ যুক্ত আছে কিনা তার তদন্ত চলছে।