সম্প্রতি ‘গীতশ্রী’ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের কাছে পদ্মশ্রী গ্রহণের আরজি জানিয়েছিল কেন্দ্র। নব্বই বছর বয়সে এসে সন্ধ্যা দেবী এই পদ্ম পুরস্কারকে অনুপযোগী মনে করেন এবং নিষেধ করে দেওয়ার পর ছোট-বড় শিল্পীমহল থেকে শুরু করে সাধারণ সমাজেও শোরগোল পরে গিয়েছিল। কেউ বা তাঁর পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন আবার কেউ বা বিপক্ষে। অতিসম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে দাঁড়ালেন সন্ধ্যা দেবীর।
পদ্মভূষণ কে রাজনৈতিক দূষণ বানিয়ে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে অপমান করা হয়েছে:
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত তৃণমূল কংগ্রেসের সময় নিজের বিবৃতি রাখেন বাংলার সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ভাষায়, “পদ্মভূষণের মতো সম্মানযোগ্য পজিশন রাজনৈতিক দূষণে পরিণত হয়েছে। সন্ধ্যা দিকে যে অসম্মান যে অপমান করা হয়েছে তার কোনো বিকল্প আছে?”
তৃণমূল সুপ্রীমোর মতে, পদ্ম সম্মান নিয়ে রাজনীতি করেছে কেন্দ্র। গীতশ্রী সন্ধ্যা দেবীর মতো একজন প্রবাদপ্রতিম অনন্য শিল্পীকে পদ্মশ্রী না দিয়ে ভারতরত্ন দেওয়া উচিত ছিল, এটাই মত বিশিষ্ট জনতার। এমনটা সমর্থনও করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, “আজকের দিনে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আজ স্পেশাল কেয়ার ইউনিটে আইসিসইউ থেকে ট্রান্সফার করা হয়েছে তাঁকে।” এই অসুস্থ শরীরে এতবড় অপমান কি মানানসই! বিস্মিত মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “ রশিদের বাড়িতে বিজেপির ২ জন গিয়ে ওই পদ্ম পুরস্কার দিয়ে এসেছে।” প্রসঙ্গত, স্বাভিমানে লেগেছিল সন্ধ্যা দেবীর। তাঁর থেকে কম বয়সী শিল্পীদের যদি পদ্মভূষণ দেওয়া হয়, তবে তাঁর বেলা পদ্মশ্রী কেন। পদ্মপুরস্কার ফিরিয়ে সন্ধ্যদেবী জানিয়েছিলেন, তাঁর শ্রোতারাই তাঁর কাছে যেকোনো পুরস্কারের অধিক।