Hoop PlusReality show

Saregamapa: যোগ্যতা অনুযায়ী বিচারকরা আমাকে বিচার করেছেন: পদ্মপলাশ

গত রবিবার শেষ হয়েছে বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় মিউজিক রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’। এদিনের গ্র্যান্ড ফিনালে ছিল তারকাখচিত। সেরা ৬ শিল্পীর মধ্যে যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন পদ্মপলাশ হালদার ও অস্মিতা কর। তবে এই ফলাফল যে দর্শকদের বিচারে ঠিক হয়নি, তা টের পাওয়া গেছে ‘ভিউয়ার্স চয়েস’ পুরস্কারের বিজেতাকে দেখেই। আলবার্ট কাবো, যিনি দর্শকদের বিচারে চ্যাম্পিয়ন, কিন্তু বিচারকদের বিচারে দ্বিতীয়। অন্যদিকে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন সোনিয়া গ্যাজমের। আর এখানেই নেপটিজমের অভিযোগ তুলেছেন দর্শকদের একাংশ। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর শিষ্য হয়েই নাকি প্রথম স্থান পেয়েছেন পদ্মপলাশ, এই অভিযোগও তুলেছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার ‘জাস্টিস ফল আলবার্ট কাবো’ হ্যাজট্যাগ নিয়ে ভার্চুয়াল বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন।

আর এইসব বিষয়কে নিয়ে এবার মুখ খুললেন ‘সারেগামাপা’ চ্যাম্পিয়ন পদ্মপলাশ হালদার (Padmapalash Halder)। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন তিনি। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর প্রতি তোলা পক্ষপাতিত্বের অভিযোগের জবাব দিয়ে পদ্মপলাশ বলেন যে, ২০১৫ সাল থেকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে গানের তালিম নিচ্ছেন তিনি। এমনকি তিনি নাকি জানতেনই না যে উনি মহাগুরুর আসনে তিনি থাকছেন এখানে। এছাড়াও তিনি গুরুজির শিষ্য বলে যে কোনো বিশেষ সুবিধা পেয়েছেন, এটিও মানতে নারাজ পদ্মপলাশ। তার কথায়, “এটা নোপোটিজমের ব্যাপার নেই। ওখানে শান্তনু মৈত্র-শ্রীকান্ত আচর্য বা রিচা শর্মা আমার কেউ হন না।” তিনি এও বলেন যে বিচারকরা যোগ্যতা অনুযায়ী জাজমেন্ট দিয়েছেন।

 

এছাড়াও এই সাক্ষাৎকারে আলবার্ট কাবোর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও অকপট হন পদ্মপলাশ। তিনি সবিস্তারে জানান যে, তাদের মধ্যে সংগীতিক বন্ধুত্ব রয়েছে। তবে আলবার্ট দর্শকদের বিচারে প্রথম হয়েছে, সেই বিষয়ে তিনিও নাকি ভীষণ খুশি। এই বিষয়টি নিয়ে তার মধ্যে কোনো আফসোস নেই তেমন। পদ্মপলাশ বলেন, “অ্যালবার্ট কাবো এত সুন্দর গান গেয়েছে, যে এত দর্শকদের মনে সে জায়গা করে নিয়েছে। ভীষণ খুশি, এতে বিন্দুমাত্র খেদের জায়গা নেই। “

প্রসঙ্গত, এই সিজনে চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগী ছিলেন মোট ৬ জন- পদ্মপলাশ হালদার, অস্মিতা কর, আলবার্ট কাবো, সোনিয়া গাজমের, বিমান বুলেট সরকার ও ঋদ্ধিমান বিশ্বাস। এবারে বিচারকের আসনে ছিলেন শান্তনু মৈত্র, রিচা শর্মা এবং শ্রীকান্ত আচার্য। গুরুর আসনে ছিলেন পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এছাড়াও মেন্টর হিসেবে ইমন চক্রবর্তী, মনোময় ভট্টাচার্য, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, রথিজিৎ ভট্টাচার্য এবং মিস জোজোকে দেখা গিয়েছিল। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন আবির চট্টোপাধ্যায়। গ্র্যান্ড ফিনালের দিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমার শানু এবং সোনু নিগম।

Related Articles