অক্টোবর মাসে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন ‘রিয়েলিটি শো কিং’ সিদ্ধার্থ শুক্লা (Siddharth Shukla)। তারপর প্রায় এক প্রকার নিজেকে ঘরবন্দী করে ফেলেছিলেন তাঁর বান্ধবী শেহনাজ গিল (Shehnaaz Gill)। কিন্তু তাঁর আপকামিং ফিল্মের প্রোমোশনের কারণে শেহনাজকে বাড়ি থেকে বেরোতে হয়েছে। শোকগ্রস্ত পরিস্থিতি কাটিয়ে মন বসাতে হয়েছে কাজে। কিন্তু বারবার সিদ্ধার্থের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে শেষ অবধি শেহনাজ বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, এটা তাঁর ব্যক্তিগত জীবন। নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি শেহনাজ। কিন্তু নেটদুনিয়া বারবার তাঁকে সিদ্ধার্থের সঙ্গে জড়িয়েছে।
সিদ্ধার্থের অকালমৃত্যুর পর শেহনাজ যখন নিজের মতো করে অন্তরালে থাকতে চেয়েছিলেন, তখন নেটিজেনদের একাংশ নিজেদের ‘সিডনাজ লাভার’ দাবি করে বারবার শেহনাজকে বেরিয়ে আসতে বলেছিল ঘরের বাইরে। আবার আগের মতো হাসিখুশি হয়ে উঠতে বলেছিল। ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন শেহনাজ। আগের মতো না হলেও কিছুটা হাসিখুশি তিনি। কর্মক্ষেত্রের প্রয়োজনে বোল্ড ফটোশুট করেছেন শেহনাজ। কিন্তু তারপরেই একদা যাঁরা নিজেদের সিডনাজ লাভার বলে পরিচয় দিতেন, তাঁরাই তাঁকে ট্রোল করা শুরু করেছেন।
তথাকথিত সিডনাজ লাভারদের ধারণা, অতীত ভুলে গিয়েছেন শেহনাজ। প্রকৃতপক্ষে, একবিংশ শতকেও যখন একটি মেয়ে তাঁর প্রেমিক, স্বামী বা পুরুষ বন্ধুকে হারিয়ে চোখের জল ফেলেন, তখন কোথা থেকে উদয় হয়ে যান একদল সহমর্মী। কিন্তু সেই মেয়েটি যখন শক্তি সঞ্চয় করে আবারও ঘুরে দাঁড়ান, তখন সহমর্মীদের ‘আহা, উহু’ মার্কা সান্ত্বনা দেওয়ার সুযোগ থাকে না। সেই সময় তাঁরা মেয়েটিকে তাঁর অতীত টেনে অপমান করেন। হয়তো সিডনাজ লাভার বলে যাঁরা নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন, তাঁরা ভেবেছিলেন, শেহনাজ বৈধব্য পালন করবেন এবং তাঁরা শেহনাজকে সহমর্মিতা জানিয়ে মহান হবেন। কিন্তু তা হল না।
প্রকৃতপক্ষে, সিদ্ধার্থের সঙ্গে শেহনাজের গভীর বন্ধুত্বকে নেটদুনিয়া অনেক নাম দিলেও তাঁদের সম্পর্কের সত্যতা জানতেন সিদ্ধার্থ ও শেহনাজ। সিদ্ধার্থ চাইতেন, শেহনাজ খুশি থাকুন, নিজের কেরিয়ারে উন্নতি করুন। ফলে বর্তমানে নেটদুনিয়া কি চাইল, তা ভাবার প্রয়োজন নেই শেহনাজের। তিনি নিজের কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চান।
View this post on Instagram