গত 19 শে অগস্ট রিলিজ করেছে বাংলা ফিল্ম ‘বিসমিল্লাহ’। জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে রিলিজ করা ‘বিসমিল্লাহ’-এর পোস্টারে বিসমিল্লাহ ওরফে ঋদ্ধি সেন (Ridhdhi Sen)-কে দেখা যাচ্ছে কৃষ্ণের বেশে। ফিল্মটি মুক্তির সময়কাল ও পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। দর্শকদের একাংশের প্রশ্ন ছিল, কেন বিসমিল্লাহ হয়ে উঠল কৃষ্ণ! ফতিমার চরিত্রেই বা কেন রাধার ছোঁয়া? কেন এভাবে দুটি ধর্মকে মিশিয়ে ফেলা হল? রীতিমত কটাক্ষের সম্মুখীন হয়েছেন ‘বিসমিল্লাহ’-র কলাকূশলীরা। এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন এই ফিল্মের নায়িকা শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhashree Ganguly)।
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে শুভশ্রী বলেছেন, তাঁরা সকলে দর্শকদের মন ছোঁয়ার জন্য সততার সাথে মন-প্রাণ দিয়ে এই ফিল্মের কাজ করেছেন। কিন্তু ‘বিসমিল্লাহ’ না দেখেই অনেকে কুরুচিকর মন্তব্য করছেন, বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। এটা মানতে পারছেন না শুভশ্রী। এই ক্ষেত্রে শৈশবের ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন শুভশ্রী। বর্ধমানের মতো মফস্বল শহরে বড় হয়েছেন শুভশ্রী ও তাঁর দিদি দেবশ্রী (Debashree Ganguly)। কুড়ি-পঁচিশ বছর আগের বর্ধমানের সমাজের কথা বলতে গিয়ে শুভশ্রী জানিয়েছেন, হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও প্রতি শুক্রবার তাঁর ঠাকুমা তাঁদের দুই বোনকে নিয়ে স্থানীয় মাজারে যেতেন ধুপ ও মোমবাতি জ্বালাতে। একবিংশ শতকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে সমাজ। কিন্তু ‘বিসমিল্লাহ’ নিয়ে অনৈতিক কটাক্ষের ফলে শুভশ্রী মর্মাহত।
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে শুভশ্রী অভিনীত ফিল্ম ‘ধর্মযুদ্ধ’ রিলিজ করেছিল। তা নিয়েও তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এই ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty)। বারবার দুটি ধর্মকে যাঁরা মিশিয়ে দেওয়ার কথা বলছেন, তাঁরাই তো রায়ট বাধলে ভয় পান।
ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে, মানবসভ্যতার জন্মলগ্নে ধর্ম বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। মানুষের স্বার্থে সৃষ্টি হয়েছিল ধর্ম। ধর্মের প্রকৃত রূপ জানতে স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম ধর্ম ও পরে খ্রীষ্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এরপর আবারও ফিরে এসেছিলেন স্ব-ধর্মেই। ধর্মের ধব্জাধারীরা কি আদৌ ধর্ম কাকে বলে জানেন?
View this post on Instagram