Morning School: তীব্র গরমে স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ, বড় সিদ্ধান্ত নিল সরকার, স্বস্তি ফিরল পড়ুয়াদের
প্রচন্ড গরমের সমগ্র রাজ্যে মর্নিং স্কুল (Morning School) চালু করা নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে একটা দাবি উঠেছে। ভোট পরবর্তী সময়ে ১০ তারিখ সোমবার বিদ্যালয়ে খুলেছে পশ্চিমবঙ্গের সব জেলায়। কিন্তু সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন অভিভাবকরা। অনেক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দক্ষিণবঙ্গের বর্ষার কোন পূর্বাভাস দিতে পারছে না হাওয়া অফিস।
মর্নিং স্কুল আপডেট প্রয়োজনে হতে পারে
প্রচন্ড গরমের জন্য স্কুলগুলো এবার মর্নিং স্কুল করে দেওয়া হোক, এমনটাই দাবি জানাচ্ছেন। স্কুলের অভিভাবকরা থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকার সকলে তবে কোথাও ফের কিছুদিনের জন্য গরমের ছুটি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন। উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনো বর্ষা প্রবেশ হয়নি। তবে ১৪, ১৫ তারিখ নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, তাতে করে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা হলে বিদ্যালয়ের স্বচ্ছন্দে গঠন পাঠন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। আজও হুগলির বেশ কিছু জায়গায় ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হয়েছে, আশা করা যাচ্ছে তাপমাত্রা অনেকটা কমে যাবে।
মর্নিং স্কুল খোলা নিয়ে কি বলছে রাজ্য সরকার?
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে প্রাথমিক এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে একটা বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সেই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, রাজ্য জুড়ে যে তাপপ্রবাহ চলছে তাতে যদি প্রয়োজন মনে করা হয় তাহলে সময় চেঞ্জ করা যেতে পারে স্কুলগুলোর। প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক সমস্ত বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই এই নিয়ম লাঘু থাকবে। সরকারি সরকারি সাহায্য প্রাপ্ত স্কুলের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হবে।
পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু জেলা যেমন বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার হয়ে গিয়েছে সেখানে অনেক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। তবে শুধু বাঁকুড়া নয়, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভ্যাপসা গরম থাকার জন্য পড়ুয়ারা ছোটাছুটি না করেই শুধু বিদ্যালয় ক্লাস করেই হাঁপিয়ে যাচ্ছে। এরকম পরিস্থিতিতে কি সিদ্ধান্ত নিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষা দফতর? এখন শুধু সেটাই দেখার পালা।
তবে আজকে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে হাফ ছুটি হয়ে যাবে, পরবর্তীকালে সোমবার দিন অর্থাৎ বখরি ঈদ হিসাবেও ছুটি আছে। এত ছুটি থাকার পরেও যদি আবার নতুন করে গরমের ছুটি বাড়ানো হয়, তাহলে চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন শিক্ষার্থীরা। মর্নিং স্কুল খোলার জন্য একাংশ অভিভাবক দাবি তুলেছেন, তবে সেটা কতটা কার্যকর হবে সেটা এখন সময় বলবে।