Jyotipriyo Mallick: চার দিন পর মুক্তি পাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক! বেফাঁস মন্তব্য করলেন বালু নিজেই
রেশন দুর্নীতি মামলায় এক সপ্তাহ আগেই গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সল্টলেকের ফ্ল্যাট থেকে তাকে গ্রেফতার করেন ইডি অফিসাররা। টানা ২১ ঘন্টার ম্যারাথন জেরায় কথাবার্তায় অসঙ্গতি পেয়ে মন্ত্রীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। ভোরবেলায় তাকে আনা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। আর এই ঘটনার এক সপ্তাহের মধ্যেই মুখ খুলে বেফাঁস কথা বলে বসলেন রাজ্যের মন্ত্রী। হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়ে। খানিকটা ভবিষ্যদ্বাণী সুরেই মন্ত্রীর গলায় শোনা গেল, ‘আর চারদিন পর’, ব্যাস এটুকুই! তাহলে কি চারদিন পর কিছু ঘটতে চলেছে রাজ্য রাজনীতিতে? জানুন বিস্তারিত।
শুক্রবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করে আনা হয়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়েই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় মন্ত্রীকে। আর সেখানেই তাকে আজ মুখ খুলতেও শোনা যায়। এদিন মন্ত্রী বলেন, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে বিজেপিকে দিয়ে। মমতা দি জানেন। মমতা দি পুরোটাই জানেন। আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব।” এই একই কথা গ্রেফতারীর পরেও শোনা গিয়েছিল তার গলায়। কারণ গ্রেফতার হওয়ার পরই তিনি দাবি করেছিলেন তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। আর এবার তিনি দাবি করলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি সবকিছুই জানেন।
তবে এটি ছাড়াও এদিন রীতিমতো ভবিষ্যদ্বাণীর সুরে মন্তব্য করতে দেখা যায় মন্ত্রীকে। তার এই একটা কথায় এখন তোলপাড় গোটা রাজ্য। কারণ নিউজের মুক্তি নিয়েই বেফাঁস মন্তব্য করলেন মন্ত্রী। মুক্তি যে প্রায় নিশ্চিত সেই আত্মবিশ্বাসের সুর এদিন শোনা গেল তাঁর গলায়। তিনি বলেন, “আমি মুক্ত। জেনে রেখে দিন আমি মুক্ত হয়ে গিয়েছি। আর চার দিন অপেক্ষা করুন। মমতা দি সব জানে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছি।”
তবে শুধু এটাই নয়, এদিন মন্ত্রীর আরো এক দাবিকে ঘিরে তৈরি হচ্ছে বিতর্ক। কারণ খুব তাড়াতাড়ি তিনি ছাড়া পাবেন বলেও দাবি করেছেন জ্যোতিপ্রিয়। এদিন নিজেকে ‘মুক্ত’ বলে দাবি করার পর জ্যোতিপ্রিয়কে বলতে শোনা যায়, “আর চার দিন পর…।” তারপরই অবশ্য বক্তব্যটি সম্পূর্ণ না করে গাড়িতে উঠে যান তিনি। জ্যোতিপ্রিয়কে এ-ও বলতে শোনা যায় যে, “দু’দিনের মধ্যে সব প্রকাশ হবে।” এই দু’দিন এবং চার দিনের কথা জ্যোতিপ্রিয় কেন বললেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।