বেশ দীর্ঘ দিন ধরে অভিনয় জগতে দেখা যায়নি সুস্মিতাকে। তবে গতবছর লকডাউনে হটস্টারে আরিয়া সিরিজের মধ্য দিয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছেন তিনি। আর এই আরিয়াতে অভিনয়ের জন্যই ফিল্মফেয়ার ওটিটি অ্যায়ার্ডস এ সুস্মিতা সেন ড্রামা সিরিজ সেগমেন্টে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই আরিয়া সিরিজের সিকোয়েল নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সুস্মিতার চরিত্র নিয়েও কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। এই ওয়েবসিরিজটি জনপ্রিয় ডাচ সিরিজ পেনোজা থেকে রিমেক করা হয়েছে এই ওয়েব সিরিজটি। ওয়েব সিরিজটির পরিচালনা করেছেন রাম মাধবানি। সুস্মিতা সেন ছাড়াও নমিত দাস, চন্দ্রচূড় সিং, সিকন্দর খের, আলেক্স ওনেল , অঙ্কুর ভাটিয়া সহ অন্যান্যরা অভিনয় করেছেন নজর কেড়েছেন এই সিরিজে।
সুস্মিতা সেনের বয়স যখন ২৪ তখন নিজের জীবনে অভিনেত্রী এক বড় সিদ্ধান্ত নেন। অবিবাহিত অবস্থায় ২১বছর আগে সুস্মিতা সেন দত্তক নিয়েছিলেন বড় মেয়ে রেনেকে। পড়াশুনা শিখিয়ে মেয়েকে আত্মনির্ভরশীল করেছেন। এবার এই মেয়েকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করাই সুস্মিতার লক্ষ্য। রেনেও ছোট থেকে পছন্দ অভিনয়। মায়ের সঙ্গে ছোট থেকেই অভিনয়তে প্রশিক্ষণ রেনে নিয়েছেন। রেনে নিজের মাকে নিজের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষিকা হিসেবে মনে করেন। মায়ের শেখানো পথে রেনে হাঁটতে চান।
গত বছর বলিউডে অভিষেক করেছেন সুস্মিতা সেনের বড় কন্যা রেনে। তবে কোনো সিনেমা না ওয়েব সিরিজের হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছেন তিনি। পরিচালক কবীর খুরানাও পরিচালিত সুতাবাজি নামক হিন্দী স্বল্প দৈঘ্যের চিত্রনাট্য দিয়ে বলিউডে পা রেখেছেন রেনে। মা-মেয়ের সম্পর্কের সমীকরণের উপর নির্ভর করেই বানানো হচ্ছে এই ছবি।এই ছবি একটি শিক্ষামূলক পাঠ ও দেবে মেয়েদের। আজকের দিনে মেয়েদেরকে আত্মনির্ভর এবং শক্তিশালী কীভাবে তৈরি করতে হয়, তাই এই সিনেমায় তুলে ধরা হবে।
কয়েক মাস আগে নেটদুনিয়াতে রেনে একটি খেলা খেলছিলেন নিজের অনুরাগীদের সঙ্গে। ‘আস্ক মি এনিথিং’। সেই সময় এক নেটাগরিকের প্রশ্ন ছিল, ‘আপনি নিজের জন্মদাত্রী মায়ের সম্পর্কে কিছু জানেন?’ তখন রেনে সেই ইউজারকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিলেন, তিনি জানেন তাঁর জন্ম মায়ের হৃদয় থেকে জ হয়েছে। এটাই তাঁর বাস্তব ঘটনা। এরপর রেনে জানিয়েছিলেন এক সংবাদমাধ্যমে জানান যখন রেনের ১৮ বছর বয়স হয়, তখনই সুস্মিতা তাঁর কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন, তিনি চাইলে তাঁর জন্মদাত্রী মা ও জন্মদাতা বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু রেনে তা মানেননি। তিনি বলেছিলেন, সুস্মিতা সেন-ই তাঁর কাছে বাবা মা সব। রেনে মনে করেন জন্ম দেওয়া ও দত্তক নেওয়া এই দুটি শব্দের মানে আলাদা নয়। তিনি তাঁর মাকে নিয়ে বড্ডো ভালোবাসেন।