চুলের যত্নে ১০টি টিপস
চুল সুন্দর কার না ভাল লাগে, কিন্তু সেই সুন্দর চুলের যত্ন করতে হয়। যত্ন না করলে চুল সুন্দর থাকে না। তবে সব সময় সুন্দর চুলের জন্য নামি দামি প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন হয় না। বাড়িতে থাকা ঘরোয়া উপকরণ দিয়ে খুব সহজেই চুলের যত্ন নেওয়া যেতে পারে।
১) বাইরে বেরোলে সব সময় ছাতা ব্যবহার করুন। সূর্যের আলো থেকে বাঁচার জন্য আমরা ত্বকের উপর সানস্ক্রিন লোশন মাখি। কিন্তু আমরা কখনই চুলের দিকে খেয়াল দিনা। সূর্যের তাপে চুল অনেক নষ্ট হয়। তাই সব সময় মাথা ঢেকে রাখুন। কখনো যদি ছাতা নিতে ভুলে যান তাহলে অবশ্যই কাপড় বা ওড়না দিয়ে চুল ঢাকা দিয়ে রাখতে পারেন।
২) শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুল কখনো আঁচড়াবেননা। চুল আঁচড়ানোর জন্যও সব সময় কাঠের চিরুনি ব্যবহার করবেন। প্লাস্টিকের চিরুনি চুল এবং স্ক্যাল্পের জন্য ক্ষতিকর।
৩) সপ্তাহে অন্তত দু’দিন শ্যাম্পু করুন। হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়।
৪) প্রতিদিন অল্প করে মাথায় তেল দিন। খুব বেশি পরিমাণে তেল দিলে সেই তেল মেখে মাথায় বাইরে বেরোনো একটু অসুবিধাজনক হয়ে যায় তাই কয়েক ফোঁটা তেল দিয়ে মাথায় ভালো করে ম্যাসাজ করুন। শীতকালে স্ক্যাল্প অনেক বেশি রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায়। তেল দিলে সেই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে।
৫) শ্যাম্পু করার পরে উপযুক্ত কন্ডিশনিং করা ভীষন জরুরী। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে যে কোন ফলের রস ব্যবহার করতে পারেন। কিংবা শ্যাম্পু করার আগে একটি পাকা কলা, মধু দিয়ে ভালো করে প্যাক বানিয়ে চুলের লেন্থে লাগিয়ে রাখতে পারলে চুল অনেক বেশি নরম থাকে।
৬) ভিজে চুলে খুব জোরে জোরে গামছা বা তোয়ালে দিয়ে মুছবেন না। এর ফলে চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়।
৭) রাতে শোওয়ার সময় যদি খুব বড় চুল হয় তাহলে বেশি জোরে আঁটোসাঁটো বিনুনী করে শোবেন না। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। আলতো করে চুল বেঁধে শুয়ে পড়ুন।
৮) মাঝেমধ্যে হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। চুলের পুষ্টির জন্য হট অয়েল ম্যাসাজ এর কোন বিকল্প নেই। এর জন্য একমাত্র নিতে পারেন নারকেল তেল। নারকেল তেল ভালো করে গরম করে নিয়ে আঙুলের সাহায্যে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে নিন।
৯) স্নান করার সময় কখনো গরম জল ব্যবহার করা উচিত নয়। ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু করুন। মাথায় গরম জল ব্যবহার করলে এটি চুলের জন্য যথেষ্ট ক্ষতিকর।
১০) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। স্বাস্থ্যকর খাবার খান। প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খান। প্রোটিন জাতীয় খাবার খেতে হবে। প্রতিদিন এক মুঠো সয়াবিন বীজ খেতে হবে।