Lifestyle: জন্মাষ্টমীর প্রাক্কালে শিখে নিন গোপালের পছন্দের দশটি খাবারের রেসিপি
জন্মাষ্টমী অনেকেই ঘরে ঘরে পালন করেন আপনি যদি গোপালের পছন্দসই ভোগ রান্না করতে পারেন তাহলে আপনার মনস্কামনা খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে।
১) নারকেলের নাড়ু –
নারকেল নাড়ু ভোগ হিসাবে গোপাল ঠাকুর কে দিন। এটি বানাতে প্রয়োজন পড়বে কোরানো নারকেল, গুড়ের করতে চান তাহলে গুড় আর যদি সাদা নারকেল নাড়ু করতে চান তাহলে চিনি। এইবার নারকেল কোরানো এবং তার সঙ্গে চিনি বা গুড় ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। সমস্ত মিশ্রন এবার গ্যাস জ্বালিয়ে একটি পাত্রের মধ্যে ভাল করে পাক দিতে হবে। ভালো করে পাক দেওয়া হয়ে গেলে গ্যাস থেকে নামিয়ে এরপর গোল গোল করে করে নিলেই একেবারে তৈরি হয়ে যাবে নারকেল নাড়ু।
২) বাসন্তী পোলাও –
গোপালের পুজোর দিন অবশ্যই বাড়িতে রান্না করুন বাসন্তী পোলাও। এর জন্য আপনাকে ভালো চাল এনে অন্তত এক ঘন্টার মতো জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং এরপরে থালার মধ্যে এই ভেজানো চাল ভালো করে ছড়িয়ে দিতে হবে সামান্য হলুদ গুঁড়ো দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। এরপর কড়াইতে সাদা তেল অথবা যদি চান পুরোটাই ঘিয়ে রান্না করতে পারেন এবং সাদা তেলে সঙ্গে ঘি ভালো করে মিশিয়ে কয়েকটা তেজপাতা, লবঙ্গ, এলাচ দারচিনি ফোড়ন দিয়ে তারপরে এই শুকিয়ে যাওয়া ঝরঝরে চাল দিয়ে দিতে হবে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে। মাঝে মাঝে উষ্ণ গরম জল দিয়ে ভালো করে নাড়াচাড়া করতে হবে কিছুক্ষণ পর ঢাকনা খুলে গরম গরম পরিবেশন করুন বাসন্তী পোলাও।
৩) সন্দেশ –
গোপালের পুজো অবশ্যই রাখুন মিষ্টি। তবে আপনি বাইরে থেকেও কিনতে পারেন। কিন্তু সহজেই ছানা এবং গুঁড়ো দুধ দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন অসাধারণ স্বাদের সন্দেশ। ছানা এবং দুধ সঙ্গে খোয়া ক্ষীর, চিনি ভালো করে মেশাতে হবে। ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে কড়াইতে পাক বানিয়ে বাড়িতে যদি সন্দেশের ছাঁচে থাকে অথবা তাহলে আপনি আপনার মনের মতন করে গড়ে নিতে পারেন। গড়ে নিয়ে বেশ খানিকক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপর উপরে বাদাম বা চেরি দিয়ে পরিবেশন করুন সন্দেশ।
৪) সুজির ক্ষীর –
কড়ার মধ্যে সুজি ভালো করে শুকনো আঁচে লাল করে ভেজে নিতে হবে এরপরে করার মধ্যেই ঘি গরম করতে হবে তাতে এলাচ, তেজপাতা, দারচিনি, লবঙ্গ দিতে হবে। এরপরে এর মধ্যে দুধ পড়তে দিতে হবে দুধের মধ্যে ভেজে রাখা সুজি দিতে হবে। এরমধ্যে খোয়াখীর এবং গুঁড়ো দুধ দিয়ে ভালো করে নারাতেহবে বেশ খানিকক্ষণ নাড়াচাড়ার পরে চিনি দিয়ে দিতে হবে বেশ মাখোমাখো হয়ে গেলে একেবারে তৈরি হয়ে যাবে সুজির ক্ষীর।
৫) তাল ক্ষীর –
পাত্রের মধ্যে প্রথমে দুধ ভালো করে ফুটতে দিতে হবে। এরপর এর মধ্যে কয়েকটা এলাচ দিয়ে দিতে হবে। তার মধ্যে কুরে রাখা তাল দিয়ে দিতে হবে। ভালো করে নাড়াতে হবে যদি মনে করেন এর মধ্যে খানিকটা গুঁড়ো দুধ দিতে পারেন এর স্বাদ অনেকটা বেশি হবে।
৬) তালের বড়া –
একটি ঝুড়ির সাথে তাল ভালো করে ছেঁচে নিতে হবে। এরপর ওই তাল শাসের সঙ্গে ময়দা, সুজি, চিনি এবং মৌরি দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে। এরপর ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করতে হবে নিতে হবে। সাদা তেলে মধ্যে মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট বড় আকারে গড়ে নিয়ে ছাঁকা তেলে ভেজে নিলেই একেবারে তৈরি হয়ে যাবে তালের বড়া।
৭) শ্রীখণ্ড –
জন্মাষ্টমীর দিন অবশ্যই তৈরি করুন শ্রীখন্ড। এটি তৈরি করতে প্রথমে সামান্য দুধের মধ্যে জাফরান ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর একটি পাত্রের মধ্যে পরিমাণমতো টক দই, চিনি, এলাচ গুঁড়ো গোলাপ জল শুকনো ফল বাদাম টুকরো দিয়ে ভালো করে মেশাতে হবে। এরপর এতে জাফরান ভেজানো দুধ দিয়ে পরিবেশন করুন শ্রীখন্ড।
৮) সুজির মোহনভোগ –
একটি পাত্রের মধ্যে ঘি দিয়ে সুজি ভালো করে ভেজে নিতে হবে। এরপর এর মধ্যেই ঘন দুধ, বাদামকুচি, কেশর এবং কনডেন্স মিল্ক দিয়ে রাখতে হবে। ঘন ঘন হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন মোহনভোগ।
৯) মালপোয়া-
অবশ্যই মালপোয়া তৈরি করুন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ময়দা সামান্য সুজি, চিনি, এলাচ গুঁড়ো, পরিমান মত সাদা তেল, এবং চিনির রস। প্রথমে একটি পাত্রের মধ্যে ময়দা, সুজি, এলাচ গুঁড়ো এবং এবং পরিমাণ মতন জল দিয়ে একটি মিশ্রণ বানাতে হবে তবে মিশ্রণটি খুব সাবধানে বানাতে হবে। যেন খুব বেশি পাতলা হয়ে যায়। কড়াইতে সাদা তেল গরম করে তাতে হাতায় করে নিয়ে অল্প অল্প করে মিশ্রণটি ঢেলে দিন। এরপর চিনির সিরার মধ্যে ফেলে দিলেই একেবারে রেডি মালপোয়া।
১০) গোপালকলা –
গোপালকলা বানানোর জন্য ফোড়ন দেওয়ার জন্য প্রথমে কড়াইয়ে লাগবে ঘি দিয়ে গোটা জিরে, গোটা সরষে, দুটো কাঁচালঙ্কা দিতে হবে। এরপর এর মধ্যে টক দই মেশানো চাল দিতে হবে। ভেজানো চিঁড়া দিতে হবে, এরপর টুকরো করে কাটা শশা, বেদানা দিতে হবে। নামানোর আগে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন গোপাল কলা।