ত্বক যত্নে নারকেল জল যে কতটা কার্যকর, তা প্রাচীনকাল থেকেই বলা হয়ে আসছে। এবার আধুনিক গবেষণাও সেই দাবিকেই আরও দৃঢ় করেছে। ডাবের জলে থাকা প্রাকৃতিক উপাদানগুলি যে শুধু শরীরকে ঠান্ডা রাখে তা-ই নয়, ত্বকের নানা সমস্যারও সমাধান করে দেয় খুব সহজেই।ত্বকে হাইড্রেশন ধরে রাখতে ডাবের জলের তুলনা নেই। এতে থাকে নেচারাল ইলেক্ট্রোলাইটস, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকে লালচে ভাব, র্যাশ বা ব্রণর মতো সমস্যায় আরাম দেয়। শুধু তা-ই নয়, ডাবের জলে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সাইটোকাইন্স সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে ও কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে দেয়, ফলে বয়সের ছাপও অনেকটাই কমে যায়।
ত্বকে ব্যবহারের নানা উপায় রয়েছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির। চটজলদি ফ্রেশ লুক পেতে চাইলে টোনার হিসেবে ব্যবহার করা যায় ঠান্ডা নারকেল জল। একে গ্রিন টি বা রোজ ওয়াটার-এর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ব্যবহার করলে মুখে স্বস্তি তো মিলবেই, সঙ্গে বাড়বে উজ্জ্বলতাও।তেলতেলে ত্বক হলে মুলতানি মাটির সঙ্গে নারকেল জল মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক অনেকটাই মসৃণ হয়। অপরদিকে, শুষ্ক ত্বকের জন্য পাকা পেঁপে ও মধুর সঙ্গে নারকেল জল মিশিয়ে তৈরি মাস্ক খুবই কার্যকর।
ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে চাইলে ডাবের জল ব্যবহার করে বানানো যায় ঘরোয়া স্ক্রাব। এতে চিনি বা কফি পাউডার মিশিয়ে নিলেই তৈরি হয় সহজ অথচ কার্যকর এক্সফোলিয়েটর।এই সব ব্যবহারে ত্বক যেমন হয় উজ্জ্বল ও কোমল, তেমনই রয়ে যায় সৌন্দর্যের স্বাভাবিক জৌলুস। যে কোনও স্কিন টাইপেই ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় নারকেল জল হয়ে উঠছে ঘরোয়া বিউটি রুটিনের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।
প্রায়শই জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন (FAQs):
১. নারকেল জল কি প্রতিদিন ত্বকে ব্যবহার করা যায়?
→ হ্যাঁ, প্রতিদিন একবার ব্যবহার করলে ত্বক আর্দ্র ও সতেজ থাকে।
২. শুষ্ক ত্বকের জন্য নারকেল জল উপকারী কি না?
→ উপকারী, বিশেষ করে পেঁপে ও মধুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে বেশি সুফল মেলে।
৩. ব্রণ বা র্যাশের সমস্যায় নারকেল জল কতটা কার্যকর?
→ এতে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ব্রণ বা র্যাশের জ্বালা কমাতে সাহায্য করে।
৪. নারকেল জল দিয়ে তৈরি টোনার কীভাবে বানানো যায়?
→ ঠান্ডা নারকেল জলে সামান্য রোজ ওয়াটার মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।
৫. ডাবের জল দিয়ে বানানো স্ক্রাব কি সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহার করা নিরাপদ?
→ সংবেদনশীল ত্বকে ব্যবহারের আগে একটি প্যাচ টেস্ট করে নেওয়া ভালো।