মুদি দোকানির ছেলে থেকে দাপটে তৃণমূল নেতা, অনুব্রত মন্ডলের কাহিনী সিনেমার গল্পের থেকেও রঙিন
পার্থ, অর্পিতার পাশাপাশি তৃণমূলের আরেক সৈন্যের পতন হল এই বিশেষ রাখি পূর্ণিমার দিন। তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগে গরুপাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে পাকড়াও সিবিআই এর। আর তলব নয়, এবারে বাড়িতে হানা দিয়ে আটক করা হয় অনুব্রতকে (Anubrata Mandal).
এই মুহূর্তে পার্থ অর্পিতা যেমন চোর আখ্যা পেয়েছে, তেমনই গরু চোর, কয়লা চোর তকমা পেয়েছেন তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল। এদিন অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে ঢুকে সব দরজায় তালা লাগিয়ে দেন সিবিআই অফিসাররা। এবং তাকে সর্বপ্রথম দুর্গাপুরে সিবিআইয়ের অফিস ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে, তারপর সেখানেই তাকে দফায় দফায় জেরা করা হবে বলে সূত্রের খবর।
চলুন ঘুরে দেখি গরু চোর আখ্যা প্রাপ্ত অনুব্রত মণ্ডলের ব্যাক্তিগত জীবনের ইতিহাস। কে এই অনুব্রত? যার কথা বলার স্টাইল শুনলে অনেকে হাসেন, মিম বানান, কে এই অনুব্রত? দাপটে তৃণমূল নেতা, অনুব্রত মন্ডলের কাহিনী সিনেমার গল্পকেও হার মানাবে।
একটা সময়, মুদির দোকান সামলাতেন বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত। পড়াশুনো অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত। রাজনৈতিক জীবনের গোড়ার দিকে কংগ্রেস করতেন তিনি। তারপর, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেস ঘরানার হলেন। তখন থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার যোগাযোগ। সেই সময় জেলার তৃণমূল সভাপতি ছিলেন সুশোভন বন্দোপাধ্যায়। দলের একেবারে লাস্ট বেঞ্চের স্টুডেন্ট ছিলেন অনুব্রত। কিন্তু, সুশোভনের পর জেলা সভাপতি হন বর্তমান ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দোপাধ্যায়। তখন থেকেই নিজের আলাদা করে জায়গা বানাতে শুরু করেন অনুব্রত মন্ডল। বর্তমানে তিনি যদিও সিবিআই এর ঘরে, কিন্তু হলেন তিনি লালমাটি অর্থাৎ বীরভূমের মালিক।