২০২৩-২৪ আর্থিক বছরের জন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। গত ৩১ শে জুলাই ছিল আয়কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এই নির্দিষ্ট তারিখের আগেই করযোগ্য ব্যক্তিদের আয়কর রিটার্ন দাখিল না করা হলে করযোগ্য সেই ব্যক্তিকে নোটিস পাঠায় আয়কর দফতর। আর আয়করের নোটিসের ভয় কমবেশি সকলেই পেয়ে থাকেন। তবে এই বিষয়ে জেনে রাখা উচিত যে আয়কর দাখিল করলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি করলে নোটিস আসে আয়কর দফতর থেকে।
সম্প্রতি, এই কারণে আয়কর বিভাগ বেতনভোগী করদাতাদের নোটিশ পাঠাচ্ছে। এইসব নোটিসে তাদের দ্বারা ITR-এ দাবিকৃত আয়কর ছাড় এবং ডিডাকশনের প্রমাণ চেয়েছে। পুরানো ট্যাক্স বিধির নিয়মের অধীনে আয়কর দফতর করদাতাদের বিভিন্ন কর ছাড় এবং ডিডাকশন দাবি করার অনুমতি দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে করদাতারা তাদের আয়ের রিটার্নে জাল রিটার্ন দাবি করেন তারা আয়কর বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে এবং একটি নোটিশ পেতে পারে। এই নোটিসের সঠিকভাবে উত্তর দিতে হয় নোটিস জারি হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই।
প্রথমত, আয়কর রিটার্ন ফাইলে HRA ডিডাকশনের দাবি করা করদাতাদের জন্য, বার্ষিক ভাড়া পরিশোধ ১ লক্ষ টাকার বেশি হলে বাড়িওয়ালার প্যান, নাম এবং ঠিকানা প্রদান করা বাধ্যতামূলক। তবে অনেকেই সেটি করেন না। অনেকেই আবার প্যান জমা এড়াতে ১ লক্ষ টাকার কম HRA ডিডাকশনের মিথ্যা দাবি করে। এটি বিষয়টি বাগে আনার জন্য আয়কর দফতর, বাড়িওয়ালার প্যান সরবরাহ না করে HRA ডিডাকশন দাবিকারীদের নোটিশ পাঠাতে পারে।
এছাড়াও, একজন করদাতার দ্বারা প্রাপ্ত যেকোনো অতিরিক্ত আয় আলাদাভাবে রিপোর্ট করতে হবে। এই ধরনের আয় প্রকাশে ব্যর্থ হলে ট্যাক্স স্ক্রুটিনির সম্ভাবনা বেড়ে যায়, বিশেষ করে যখন ব্যাঙ্কিং চ্যানেলের মাধ্যমে আয় পাওয়া যায় বা পরিষেবা গ্রহীতার দ্বারা TDS কেটে নেওয়া হয়। পাশাপাশি, বেতনভোগী ব্যক্তিদের করের অবদান যথেষ্ট হলেও, ট্যাক্সের দায় কমানোর জন্য ভুল ডিসকাশন দাবি করার প্রলোভন প্রতিরোধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এবার এইসব করদাতাদের নোটিস পাঠানো শুরু করেছে আয়কর দফতর।