Hotel Room: হোটেল রুমে ঢুকেই যাচাই করে নিন এই জিনিসগুলি, নাহলেই পড়তে হবে মহা বিপদে
দুর্গাপূজা হোক বা শীতের ছুটি, কাজ থেকে ফুরসৎ মিললেই অনেকে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়েন বাড়ি থেকে। কখনও গন্তব্য হয়ে থাকে পাহাড়, কখনো সমুদ্র, কখনো ঐতিহাসিক স্থান, কখনো ধর্মীয় স্থান, আবার কখনক কোনো শান্ত জায়গা। কিন্তু বাইরে দিন দুয়েক কাটাতে গেলেই প্রয়োজন পড়ে হোটেলের। সারাদিন ঘুরে বেড়িয়ে কাটানো গেলেও রাতের বিশ্রাম কিন্তু হয় কোনো এক ছাদের নিচে। তাই এই ধরণের পর্যটন স্থানগুলোতে গড়ে ওঠে অনেক হোটেল।
ঘুরতে গিয়ে যেমন অনেকেই হোটেল রুম বুক করে থাকেন, তেমনই আবার অনেকেই কাছের মানুষের সঙ্গে একান্ত মুহূর্ত উপভোগের জন্যও হোটেলের রুম বুকিং করে থাকেন। কারণ হোটেল রুমই হল একমাত্র স্থান, যেখানে কোনোরকম উৎপাত বা বাধা ছাড়াই কাটানো যায় অন্তরঙ্গ মুহূর্ত। কিন্তু এবার এই হোটেলে রাত কাটাতে হলে জেনে রাখতে হবে কয়েকটি নিয়ম। নাহলেই পড়তে হতে পারে অনেক সমস্যায়। তাই এই নিয়মগুলিকে হোটেলে যাওয়ার আগেই মনে রাখতে হবে।
প্রথমত, হোটেলের মধ্যে যে জিনিসটির দিকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা হল হোটেলের শৌচালয়। হোটেল রুমের সঙ্গে ঘকা শৌচালয় ব্যবহার করার আগে ভালো করে দেখে নিতে হবে যে কোনো পোকামাকড় তার ভেতর বাসা বেঁধেছে কিনা। এছাড়াও হোটেলের শৌচালয়ের কমোড ব্যবহার করার আগে তা ভালোভাবে ফ্লাশ করে নিতে হবে। এমনটা না করলেই নানা রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। তাই শৌচালয় ব্যবহার করার আগে সেটিকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
এছাড়াও হোটেল রুমে থাকা জলের জগ ও গ্লাসকে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে সেগুলি ব্যবহারের আগে। কারণ গ্লাস থেকে রোগ সংক্রমণ সবথেকে বেশি ছড়ায়। এছাড়াও, বিছানার চাদর তুলে ভালোভাবে দেখে নিতে হবে যে বিছানায় ছারপোকার বংশবৃদ্ধি ঘটেছে কিনা। কারণ ছারপোকা থাকলে কিন্তু প্রিয় মানুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা উঠবে মাথায়। এছাড়াও আপদকালীন অবস্থার জন্য হোটেলের বাইরে বেরোনোর এক দ্বিতীয় রাস্তা খুঁজে রাখা দরকার। তবে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হল দরজার লক। তাই রুমে ঢুকেই সেটিকে ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিতে হবে।