মানুষ হল সামাজিক জীব। তাই সামাজিক জীবনে বেঁচে থাকার জন্য সবথেকে বেশি প্রয়োজন একজন সঙ্গীর, একজন কাছের মানুষের, একজন নিজের মানুষের; যার কাছে মন ও শরীর দুটিই লুটিয়ে দিয়ে শান্তির ঘুম ঘুমোতে চায় সকলেই। কিন্তু এই সবকিছুর জন্য প্রয়োজন একটা নির্ঝঞ্ঝাট মধুর সম্পর্কের। আর সম্পর্ককে ভালো রাখতে দরকার যত্নের। কিছু ক্ষুদ্র কাজ করলেই তিক্ততা থেকে মধুরতায় পৌঁছে যায় সম্পর্কের সমীকরণ।
কিন্তু সংসারে নানা সময় নারী পুরুষের কলহ লেগেই থাকে নানা কারণে। সেই কারণেই ব্যাহত হয় সংসারের সুখ ও শান্তির পরিবেশ। তবে কিছু কাজ করলেই মেয়েদের সুখী করতে পারবেন পুরুষরা। খুবই সহজ সেইসব কাজই হল সংসারে সুখের চাবিকাঠি। এক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার সঙ্গিনীর প্রশংসা করুন। কারণ নিজের প্রশংসা শুনতে কমবেশি সকল নারীই পছন্দ করেন। তাই আপনার সঙ্গিনীকে ভালো রাখতে যেকোনো বিষয়ে তার সামনে তার প্রশংসা করুন। রূপ বা গুণের প্রশংসা করতে পারেন। তবে সবথেকে বেশি সাজের প্রশংসা শুনতে ভালোবাসেন মেয়েরা।
এছাড়াও একজন মহিলা তার পুরুষ সঙ্গীর থেকে সুরক্ষা আশা করে। ঘরের ভেতরে হোক বা রাস্তাঘাটে, সবসময় আপনার সঙ্গিনীর নিরাপত্তার বিষয়ে খেয়াল রাখুন। তবে নিরাপত্তা শুধুই শারীরিক নয়, তাকে মানসিক নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়েও ভাবুন। এছাড়াও, প্রতিটি মেয়েই চায়, তার পুরুষ সঙ্গী শুধুই তার খেয়াল রাখুক, তাকে যত্ন করুক। তাই আপনার সঙ্গিনীর যত্নের বিষয়টি মাথায় রাখুন। বিশেষ করে তার অসুস্থতা ও ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে বিশেষভাবে যত্ন তার মনে আপনার জন্য বৃহৎ জায়গা নির্মাণ করতে পারে।
আপনার যেকোনো সিদ্ধান্তে আপনার মহিলা সঙ্গিনীর মতামত নিন। এতে সে নিজেকে বিশেষ মনে করতে পারবে। আর মহিলারা সবসময়ই একটু বেশি গুরুত্ব চান তার পুরুষ সঙ্গীর থেকে। অন্যদিকে সঙ্গিনীর মতামতের গুরুত্ব দেওয়াটাও কিন্তু জরুরি। এছাড়াও প্রতিদিন আপনার ভালোবাসা শরীর ও মন দিয়ে ফুটিয়ে তুলুন আপনার সঙ্গিনীর চোখে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে অন্তত একবার করে সঙ্গিনীকে চুম্বন করুন। গালে বা কপালে স্নেহের চুম্বনও এঁকে দিতে পারেন। এতে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য, অনুমান ও সমীক্ষার উপর লিখিত। বাস্তব জীবন সকলের ক্ষেত্রে আলাদা হতেও পারে।