whatsapp channel

Tollywood: চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা ইনকামের ফন্দি! ধরা পড়লেন টলি অভিনেতা

আবারও রাজ্যের শাসক দলের দিকে উঠল অভিযোগের তীর। তবে তা পরোক্ষ ভাবে। টলিউডের একজন জুনিয়র শিল্পীর কর্মকান্ডের মাধ্যমে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এক প্রভাবশালী নেতার ঘটনা। ওই জুনিয়র আর্টিস্ট মালদহের বাসিন্দা।…

Avatar

Nilanjana Pande

আবারও রাজ্যের শাসক দলের দিকে উঠল অভিযোগের তীর। তবে তা পরোক্ষ ভাবে। টলিউডের একজন জুনিয়র শিল্পীর কর্মকান্ডের মাধ্যমে শাসক দলের ঘনিষ্ঠ এক প্রভাবশালী নেতার ঘটনা। ওই জুনিয়র আর্টিস্ট মালদহের বাসিন্দা। তাঁর নাম সায়ন চৌধুরী (Sayan Chowdhury)। জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দলুই (Biswajit Dolui)-এর অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর কয়েক বন্ধুকে পোস্ট অফিসে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিন লক্ষ ষোল হাজার টাকা নিয়েছেন সায়ন। এই অভিযোগে বুধবার সায়নকে বহুক্ষণ আটকে রেখেছিলেন জাঙ্গিপাড়ার দিলাকাশ গ্রামের বাসিন্দারা।

বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, সায়নের সাথে তাঁর পরিচয় হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। একে অপরের বাড়ি যাওয়া-আসাও শুরু করেছিলেন তাঁরা। বিশ্বজিৎকে সায়ন দমদমের একটি পোস্ট অফিসে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা নেন। বিশ্বজিৎ দাবি করেছেন, একই ভাবে তাঁর আরও চার বন্ধুর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন সায়ন। এছাড়াও কয়েকজনকে খাদ্য দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে টাকা নিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখনও অবধি কেউ টাকা পাননি। উপরন্তু সায়নের কাছে চাকরি দাবি করলে তিনি আরও টাকা চাইতেন বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ। এই কারণে সায়নকে টাকা দেওয়ার টোপ দিয়ে বুধবার জাঙ্গিপাড়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপরেই তাঁকে ঘেরাও করে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে সায়ন জানান, তিনি টলিউডে জুনিয়র আর্টিস্টের কাজ করেছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। সায়ন জানিয়েছেন, তিনি নিজেও প্রতারণার শিকার। তাঁকে রাজ্যের শাসক দলের এক প্রভাবশালী নেতা ভালো কাজের টোপ দিয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রিতে ওই নেতার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওই নেতার কথাতেই চাকরির টোপ দিয়ে টাকা তুলেছিলেন সায়ন। সেই টাকা তিনি ওই নেতার হাতেই তুলে দিতেন। নাহলে তাঁর বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারত বলে জানিয়েছেন সায়ন।

কিন্তু সায়নের কথায় গুরুত্ব না দিয়ে বিশ্বজিৎ-এর বাবা দীননাথ দলুই (Dinanath Dolui) জানিয়েছেন, তিনি জমি বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছিলেন ছেলেকে। কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছেন, এটি ভুয়ো। ফলে টাকা ফেরত চান তিনি। স্থানীয় বাসিন্দা সুমন কুন্ডু (Suman Kundu)-র কাছ থেকেও খাদ্য দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ত্রিশ হাজার টাকা নিয়েছিলেন সায়ন। তিনিও টাকা ফেরত চেয়েছেন। সায়ন জানিয়েছেন, তিনি টাকা যোগাড় করেছেন। কিন্তু তাঁর বাড়ি মালদহে হওয়ার ফলে তা আসতে কিছুটা সময় লাগছে। তবে তিনি সকলের টাকা ফেরত দেবেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে গ্রামবাসীরাও টাকা না পেলে সায়নকে যেতে দেবেন না বলে জানিয়েছেন। এই ঘটনায় কোনো অভিযোগ দায়ের না হলেও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে জাঙ্গিপাড়া থানার পুলিশ।

whatsapp logo