Hair Care Tips: খুশকির কারণে মুঠো মুঠো চুল উঠছে! হাতে তুলে নিন পাঁচটি ঘরোয়া উপাদান
শীতকাল পড়তেই মাথা ভর্তি খুশকিই আপনাকে বিব্রত করে। খুশকির হাত থেকে যদি রক্ষা পেতে চান তাহলে বাড়িতে কয়েকটি উপাদান ব্যবহার করে দেখুন। খুশকির হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। এই নানা কারণে হতে পারে মানসিক স্ট্রেস থেকে অনেক সময় খুশকি হয়ে থাকে, এছাড়া নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করলেও খুশকির সমস্যা বাড়তে পারে, তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন কিভাবে আপনি খুশকির হাত থেকে রেহাই পাবেন।
১) নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল – নারকেল তেলের সঙ্গে ক্যাস্টর অয়েল খুব ভালো করে মিশিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় মাসাজ করে, অন্তত এক ঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। ক্যাস্টর অয়েল চুল ভালো করতে সাহায্য করে এবং দুটি তেলের মিশ্রণে আপনার চুল খুব সুন্দর হবে এবং খুশকি মুক্ত হবে।
২) টক দই, পাতিলেবুর রস – টক দই আর পাতিলেবুর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যাসিড। দুটোকে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলের গোড়ায় গোড়ায় ভালো করে ম্যাসাজ করে এক ঘন্টার মতন রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। দেখবেন আপনার চুল কত সুন্দর হয়ে যাবে খুশকিও থাকবে না।
৩) আদার রস, পেঁয়াজের রস – ছোটবেলা থেকেই নিশ্চয়ই শুনে আছেন পেঁয়াজের রস আমাদের চুলের জন্য খুব ভালো। পেঁয়াজের সঙ্গে আদা খুব ভালো করে করে নিয়ে রস বার করে নিয়ে এই রসকে যদি খুব ভালো করে গোটা চুলে ভালো করে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে তারপর শ্যাম্পু করে ফেলা যায়, দেখবেন এরকম তিনদিন ব্যবহার করলেই খুশকি একেবারে চলে গেছে।
৪) গ্রিন টি, তুলসী পাতা – গ্রিন টি আর তুলসী পাতাকে খুব ভালো করে জলের মধ্যে ফোটাতে হবে। তারপরে সেই জল ছেঁকে যদি তুলোয় করে আপনি আপনার গোটা মাথায় লাগাতে পারেন এবং এটি খুব ভালো টোনার হিসেবেও কাজ করে। তাহলে দেখবেন, আস্তে আস্তে খুশকির সমস্যা একেবারে চলে গেছে। গ্রিন টি, তুলসী পাতা পেস্ট করেও মাথায় লাগাতে পারেন।
৫) ডিমের কুসুম, মেথি পেস্ট – ডিমের কুসুমের সঙ্গে মেথি ভালো করে পেস্ট করে লাগাতে পারেন। ডিমের কুসুম চুলের জন্য খুব ভালো খাবার। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। মেথি চুল ভালো করতে সাহায্য করে। নতুন করে চুল গজাতে সাহায্য করে, এছাড়া খুশির সমস্যা যদি থাকে, তাহলে এই হেয়ার প্যাকটি আপনার জন্য উপযুক্ত।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।