Lata-Sandhya: লতা ও সন্ধ্যার রেষারেষি? হেসে ফেলেছিলেন দুই বান্ধবী
দুই কিংবদন্তী। কেউ কারও থেকে কোনও অংশে কম নন। 8 ই জানুয়ারি থেকে লতা মঙ্গেশকর (Lata Mangeshkar) লড়ছিলেন মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। রবিবার সকালে বিরানব্বই বছর বয়সে থেমে গেল সেই লড়াই। অপরদিকে আরও একজন লড়ছেন কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় (Sandhya Mukherjee)। তিনিও নব্বই পার করেছেন। হয়তো আধো-অচেতন কিংবদন্তী জানেন না, চলে গিয়েছেন লতা। চিরকাল সবাই বলেছেন লতা ও সন্ধ্যার মধ্যে রয়েছে ঠান্ডা লড়াই।
View this post on Instagram
অনেকদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে সন্ধ্যা বলেছিলেন, তাঁর ও লতার ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা। 1950 সালে তৎকালীন বম্বে পাড়ি দিয়েছিলেন সন্ধ্যা। 17 টি হিন্দি ফিল্মে তিনি প্লে-ব্যাক করেছিলেন। শচীন দেববর্মণ (Sachin Dev Barman)-এর হাত ধরেই বম্বে এলেও প্রথম প্লে-ব্যাক করেন অনিল বিশ্বাস (Anil Biswas)-এর সুরে ‘তারানা’ ফিল্মে। এই ফিল্মে গান গাইতে গিয়ে সন্ধ্যার সঙ্গে পরিচয় হয় লতার। লতা ও সন্ধ্যা ডুয়েট গেয়েছিলেন ‘তু বোল পাপিহে বোল’। কিন্তু এই গানের সূত্রে সন্ধ্যা ও লতার বন্ধুত্বের সূত্রপাত।
View this post on Instagram
বম্বে থেকে সন্ধ্যা কলকাতায় ফিরে আসার পরেও তাঁর ঢাকুরিয়ার বাড়িতে এসেছেন লতা। কিন্তু বিশেষ কয়েকজন রটালেন, সন্ধ্যা বম্বেতে আসার পর নাকি লতা ক্রমশ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন। সেখান থেকেই সূত্রপাত তাঁদের রেষারেষির। লতা সহ্য করতে পারছিলেন না এই গুজব। তিনি সরাসরি একদিন সন্ধ্যাকেই জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তিনি কেন সন্ধ্যাকে হিংসা করবেন! এই প্রশ্ন শুনে হেসেছিলেন সন্ধ্যা। এমনকি হেসে ফেলেছিলেন লতাও। একে অপরের অত্যন্ত ভালো বন্ধু ছিলেন। বম্বে থাকাকালীন লতার বাড়িতে যেতেন সন্ধ্যা। লতাও হোটেলে এসে সন্ধ্যার সঙ্গে সারাদিন কাটিয়ে যেতেন। সন্ধ্যার মায়ের হাতের রান্না খেতে পছন্দ করতেন লতা।
View this post on Instagram
লতার কাছে অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন সন্ধ্যা। লতাকে একটি আংটিও উপহার দিয়েছিলেন তিনি। লতা সুরলোকে পাড়ি দিয়েছেন সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে। কলম চলছে না। শূন্য মন। গীতশ্রী, আপনাকে জিততেই হবে এই লড়াইয়ে। হারাতে পারব না আপনাকে। শোক সহ্য করার মতো মনটা ভেঙে গেছে। সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন আপনি। অপেক্ষায় রইলাম।