Lifestyle: মানিব্যাগে রাখুন ছোট্ট এই জিনিস, অভাব কেটে রাতারাতি বদলে যাবে ভাগ্য
বাড়ি থেকে বেরোনোর আগে পকেটে হাত দিয়ে যে জিনিস আমরা সকলেই ক্রস-চেক করি, তা হল মানিব্যাগ। আমাদের নিত্যদিনের জরুরি সামগ্রীর মধ্যে এই মানিব্যাগ বা ওয়ালেট অন্যতম। শতাব্দী প্রাচীন আগে নৌ-সেনাদের কার্তুজ রাখার ব্যাগ থেকেই উৎপত্তি এই ছোট্ট জিনিসের। তারপর নানা দেশ ও গোটা পৃথিবীতে এই জিনিসটি হয়ে ওঠে সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আজকাল সকলেই কমবেশি মানিব্যাগ ব্যবহার করে থাকেন। লিঙ্গভেদে লেডিস ও জেন্টস মানিব্যাগের প্রকার আলাদা হলেও, তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু থাকে একটাই।
তবে এই মানিব্যাগ সঠিক নিয়মে না রাখলে কিন্তু আপনার পকেট হতে পারে গড়ের মাঠ। বাস্তুশাস্ত্র মতে, মানিব্যাগ হল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেখানেই হয় মা লক্ষ্মীর বসবাস। তাই যেমন পুরানো মানিব্যাগ ফেলে দিলেও হতে পারে মারাত্মক ক্ষতি, তেমনই আবার মানিব্যাগে একটি জিনিস রেখে দিলেই বদলে যেতে পারে আমাদের ভাগ্য। সফলতা পেতে এবং সমৃদ্ধির বাতাবরণে থাকতে মানিব্যাগ নিয়ে বাস্তুশাস্ত্রে রয়েছে কিছু নিয়ম। এই প্রতিবেদনে সেই বিষয়েই আলোচনা হবে।
বাস্তুশাস্ত্র মতে, মানিব্যাগে টাকাপয়সার পাশাপাশি কেউ যদি কাঁচা হলুদের টুকরো রেখে দিতে পারে, তাহলে তার জীবনে মা লক্ষ্মীর কৃপার বর্ষণ হতে পারে। কারণ হলুদ হল শুভ এবং এই রং ভগবান বিষ্ণুর খুবই প্রিয়। তাই বিষ্ণুকে প্রসন্ন করা গেলে মা লক্ষ্মীর কৃপালাভ হবে অনায়াসে। এছাড়াও কোনো পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার আগে মানিব্যাগে এই হলুদের টুকরো রেখে দিলে ভাগ্য সহায় হয়। তাই বাস্তশাস্ত্রে মানিব্যাগে হলুদের টুকরো রাখাকে শুভ বলেই গণ্য করা হয়ে থাকে। এছাড়াও মানিব্যাগে লাল কাগজ রাখলে অর্থাভাব হয়না।পাশাপাশি, মানিব্যাগের ভেতর ধান বা চালের দানা রাখলে মা লক্ষ্মীর কৃপালাভ হয়ে থাকে।
তবে কোনোদিনই মানিব্যাগের ভেতর ধারালো কোনো জিনিস রাখবেন না। এতে অর্থক্ষয় হতে পারে। এছাড়াও মানিব্যাগের ভেতর নোট সবসময় গুছিয়ে রাখুন। ভাঁজ করে রাখবেন না। মনে রাখতে হবে যে কারো থেকে টাকা ঋণ নিলে সেই টাকা মানিব্যাগে রাখবেন না। এতে ক্ষতি হয়। এছাড়াও মানিব্যাগের ভেতর কখনোই নোট এবং কয়েন একসাথে রাখবেন না। এতে রুষ্ট হন দেবী লক্ষ্মী। তবে কখনোই পুরানো মানিব্যাগ ফেলে দেবেন না। এটি অত্যন্ত শুভ জিনিস। এটিকে গুছিয়ে লাল কাপড়ে মুড়ে আলমারিতে রাখুন। প্রয়োজনে নদীতে বিসর্জন দিন। কখনোই ডাস্টবিন বা নোংরা জায়গায় ফেলবেন না।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্য ও অনুমানের উপর রচিত। কুসংস্কারকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের অভিপ্রায় নয়।