Hoop PlusTollywood

Uttam Kumar: এক জামবাটি মাংস খেয়েও ছিপছিপে থাকতেন উত্তম কুমার, ত্বরিতা ফাঁস করলেন রহস্য

‘উত্তমকুমার’ (Uttam Kumar) এই নামটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আপামর বাঙালির নস্টালজিয়া। বিদেশের মাটিতেও প্রবাসী বাঙালির শিকড়ের টানের আরেক নাম উত্তম কুমার। বাংলা ফিল্মের গর্বের অপর নাম উত্তম কুমার। ছবিগুলি সাদা-কালো, কিছু আবার রঙিন, তবুও তিনি মহানায়ক। তাঁর উচ্চতা আজও ধরাছোঁয়ার বাইরে। এক স্বয়ংসম্পূর্ণ মহানায়ক ছিলেন উত্তম কুমার। শোনা যায়, তিনি নাকি ভরপেট খেতেন। বাঙালি জাতির অপবাদ রয়েছে ‘ভুঁড়ি’ নিয়ে। কিন্তু উত্তম কুমার ছিলেন নির্মেদ। এবার তাঁর ফিটনেসের রহস্য শেয়ার করলেন তাঁর নাতবৌ ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায় (Twarita Chatterjee)।

এক বছর হতে চলল মহানায়কের পরিবারে বধূ হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছেন ত্বরিতা। কিছুদিন আগেই জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো ‘দাদাগিরি আনলিমিটেড’-এর মঞ্চে ‘মহারাজ’ সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly) পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায় (Kamaleswar Mukherjee)-কে প্রশ্ন করেছিলেন, এক জামবাটি মাংস খেয়েও কি করে ছিপছিপে থাকতেন উত্তম কুমার। এবার সেই কথার রেশ ধরেই উত্তম কুমার ও তরুণ কুমার (Tarun Kumar)-এর নাতবৌ ত্বরিতা জানালেন, খেতে ভালোবাসতেন উত্তম কুমার। তবে তার পাশাপাশি শরীরচর্চাতেও মনোযোগী ছিলেন তিনি। ত্বরিতা না বললেও অনেকেই জানেন, একসময় উত্তমকে যোগ ব্যায়ামের প্রশিক্ষণ দিতে তাঁর বাড়িতে নিয়মিত আসতেন ট্রেনার। এছাড়াও সাঁতার শিখেছিলেন উত্তম। তখন সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। কিন্তু ফিল্ম ম্যাগাজিন ‘উল্টোরথ’-এর সৌজন্যে উত্তম কুমার সম্পর্কিত খবর ছড়িয়ে পড়ত ঘরে ঘরে।

খেতে ভালোবাসতেন তরুণ কুমারও। দাদা উত্তমের আগে তিনিই এসেছিলেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। উত্তম ও তরুণ দুজনেই অভিনেতা হিসাবে তুখোড়। আজও কেউ তাঁদের ধারে কাছে লাগতে পারেন না। তবে শরীরচর্চার নামে পিছিয়ে যেতেন তরুণ। উত্তম যখন সকালে মিন্টো পার্কে হাঁটতে যেতেন, ভবানীপুর থেকে তরুণও বেরোতেন শরীরচর্চার সরঞ্জাম নিয়ে। কিন্তু তাঁর গন্তব্য ছিল ময়লা স্ট্রিট। কারণ বেণুদির হাতের সুস্বাদু জলখাবার। বেণুদি ওরফে সুপ্রিয়া দেবী (Supriya Chatterjee)-র হাতের জলখাবার খেতেন তরুণ। কখনও বা দাদার গাড়ির পিছনের সিটে আয়েশ করে ঘুমিয়ে পড়তেন। ফলে বাড়তি মেদ জমতে শুরু করেছিল তাঁর শরীরে।

কিন্তু তরুণের দৌহিত্র সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sourav Banerjee) অর্থাৎ ত্বরিতার স্বামী খেতে ভালোবাসলেও শরীরচর্চায় কোনও রকম ফাঁকি দেন না। ফলে তিনিও উত্তমের মতোই ছিপছিপে। ত্বরিতা যথেষ্ট ফিটনেস ফ্রিক হলেও কোনও ডায়েট অনুসরণ করেন না। তাঁর খাবারে ভাত-রুটি, প্রোটিন থাকেই। কারণ তিনি মনে করেন, ভারতীয় শরীরের ক্ষেত্রে এই ধরনের খাবার জরুরী।