স্বামী-স্ত্রী হোক বা প্রেমিক-প্রেমিকা, সম্পর্কে একে অপরকে বুঝে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর এই বোঝার ক্ষেত্রে কিন্তু একধাপ এগিয়ে থাকেন পুরুষরা। তাই বলে কিন্তু এমনটা নয় যে মহিলারা বোঝেন না পুরুষ সঙ্গীকে। তবে সবার মনেই থাকে কিছু চাহিদা, কিছু সুপ্ত ইচ্ছে। যেগুলি পূরণ করতে পারলেই আপনার স্বামী বা প্রেমিক কিংবা সঙ্গিনীর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক হবে সুমধুর। অন্যদিকে এগুলি পূরণ না হলেই সম্পর্কে আসে অম্লতার স্বাদ। তাই দাম্পত্য হোক বা প্রেম, সম্পর্ক শেষমেষ অম্লমধুরই হয়ে থাকে।
মেয়েদের প্রতি আগ্রহ নেই, পৃথিবীতে এমন পুরুষ রীতিমতো অমিল। সব পুরুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকেন মহিলারা। তবে অনেকেই মনে করেন মেয়েদের মুখ এবং শরীরের দিকেই বেশি নজর দেন পুরুষরা। তবে একথা একেবারে ঠিক না। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে মেয়েদের রূপ এবং শরীর ছাড়াও এমন অনেক জিনিস আছে যেগুলি বেশি চোখে পড়ে পুরুষদের। কি কি সেই জিনিস? দেখে নিন একনজরে।
● পোশাক: মেয়েদের যে জিনিসের দিকে সবথেকে বেশি চোখ যায় পুরুষদের সেটি হল তাদের পোশাক। আপনি কি পরে রাস্তায় বেরোচ্ছেন, সেই বিষয়ের উপর নির্ভর করে আপনি কতজন পুরুষের চোখে মধ্যমনি হয়ে থাকছেন। এছাড়াও আপনার পোশাকের রং দেখে পুরুষরা বুঝতে পারেন যে আপনি এখন কেমন মুডে রয়েছেন।
● মুখের ভঙ্গিমা: পোশাক ছাড়াও মেয়েদের আরেকটি জিনিসও বেশ নজর কাড়ে ছেলেদের। আর সেটি হল মুখের হাবভাব। মেয়েদের মুখের ভঙ্গি খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন পুরুষরা। কারণ একটাই, মেয়েদের কথা বলার ভঙ্গিমা দেখেই তার স্বভাব ও চরিত্র লুকিয়ে থাকে।
● রসবোধ: সম্পর্কে বিভিন্ন ধরণের মজা মশকরা হয়েই থাকে। কিন্তু অনেকেই এই বিষয়টি পছন্দ করেন না। তবে বেশিরভাগ পুরুষ চায় তার সঙ্গিনীর রসবোধ ভালো হোক। এই কারণে মহিলাদের মধ্যে এই বিষয়টি কমবেশি সব পুরুষই খুঁজে থাকেন।
● বুদ্ধিমত্তা: মহিলারা পুরুষদের থেকে কোনো কোনো বিষয়ে বেশি বুদ্ধিমতী হয়ে থাকেন। আর এই বিষয়টি কিন্তু পুরুষরা পছন্দ করে থাকেন। তাই কোনো মহিলাকে সঙ্গিনী বানানোর আগে তার মধ্যে এই গুনটি সব পুরুষরাই খুঁজে থাকেন।
● খাওয়াদাওয়ার অভ্যেস: খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসের উপর মহিলাদের স্বভাব লুকিয়ে থাকে। প্রথম দিন ডেটিংয়ে গিয়েই কোনও মেয়ে যদি স্যালাড বা তেলহীন খাবার পছন্দ করে, তবে ছেলেটি বুঝে নেয় কেবল নিজের ইমেজ বজায় রাখতেই মেয়েটি এসব করছে। যদি মন ভরে বার্গার, চিপস, কোল্ডড্রিংক খায় ছেলেরা ধরে নেয় মেয়েটি খেতে খুবই পছন্দ করে।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ তথ্যভিত্তিক। বাস্তবের সঙ্গে পুরোপুরি মিল নাও থাকতে পারে।
