ইদানিং ‘সদগুরু’ তারকাদের কাছে ক্রমশ বিখ্যাত হয়ে উঠেছেন। বলা ভালো, তিনি বর্তমানে ধর্মীয় তারকা। সদগুরুর প্রকৃত নাম কি তা জানা না গেলেও তাঁর ধর্মীয় নাম বাসুদেব (Basudev)। তাঁর শিষ্যদের কাছে তিনি পরিচিত ‘সদগুরু’ নামে। তবে এবার এই স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরুও কিন্তু রেহাই পেলেন না উরফি জাভেদ (Urfi Javed)-এর হাত থেকে। তিনি যদি স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক গুরু হন, তাহলেও উরফিও স্বঘোষিত ফ্যাশন আইকন। ফলে উরফি সদগুরুকে রীতিমত আধুনিকতার শিক্ষা দিয়েছেন।
তবে উরফি সম্পর্কে কোনো মন্তব্য না করেই সমস্যা ডেকে এনেছেন সদগুরু। সাম্প্রতিক কালে তাঁর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে যাতে সদগুরুকে বলতে শোনা যাচ্ছে, এলজিবিটিকিউ প্রকৃতপক্ষে একটি প্রচার অভিযান। এই মঞ্চে এসে নিজ নিজ যৌনতার ধারণা নিয়ে স্বাধীন ভাবে এবং জোর গলায় আলোচনা করতে পারেন সমকামী, রূপান্তরকামী ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা। এই ভিডিও দেখে উরফি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে লিখেছেন, এলজিবিটিকিউ সংগঠন সদগুরুর মাথার মতো ক্ষুদ্র নয়। এই ধরনের নিম্নমানের মানসিকতা বরদাস্ত করতে রাজি নন উরফি। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, যাঁরা যৌনতা দিয়ে মানুষকে বিচার করেন, তাঁদের উরফির থেকে দূরে থাকা উচিত । এমনকি এই মর্মে শুক্রবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন উরফি।
View this post on Instagram
তাঁর মতে, এই ধরনের অপপ্রচারকে উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়। এর ফলে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষরা অপমানিত বোধ করছেন। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সমাজের সমর্থন প্রয়োজন। বহু শতাব্দী ধরে মানুষ তাঁদের যৌনতা আড়াল করতে বাধ্য হয়েছিলেন। সমলিঙ্গের প্রেম আড়াল করে নিজেদের অস্তিত্ব বদলাতে বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি চান না উরফি। তাঁর মতে, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের পাশে থেকে তাঁদের বোঝানো উচিত, নিজের মতো হতে বা নিজের মতো করে ভালোবাসতে বাধা নেই।
উরফি নিজেও লড়াই করেছিলেন রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সম্পর্কে উরফির বক্তব্য নেটিজেনদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে।
View this post on Instagram