বর্ষাকালে বারান্দায় বসে বসে এক কাপ কফিতে চুমুক দিতে কার না ভালো লাগে, কিংবা শীতকাল হলেই মনটা খালি কফি কফি করে? কিন্তু আপনি সারাবছর কফি নাই বা খেলেন, লাগাতেতো পারেন। কফির দুর্দান্ত পাঁচটি ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে দেবে। পুজোর আগে একবার করেই দেখুন, কোন বিউটি পার্লারে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
১) দুই টেবিল চামচ কফি পাউডার এর সাথে ঠিক দুই টেবিল চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি চুলে সপ্তাহের প্রতিদিনই রাতে শুতে যাওয়ার আগে মুখে ভালো করে ম্যাসাজ করে অন্তত এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন। তারপর দেখবেন আপনার ত্বক কত সুন্দর হয়ে গেছে। কফি মুখের উপরে হওয়া কালো দাগ সহজে দূর করে দেয়, মধু আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করবে।
২) কফির সঙ্গে চালের গুঁড়ো তার সঙ্গে সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন কাঁচা দুধ। সপ্তাহে দুদিন এটি স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করুন, দেখবেন আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা কতখানি বেড়ে গেছে। বাইরে থেকে আর কোনো রকম স্ক্রাবার কিনতে হবে না, এটি যথেষ্ট।
৩) কফি পাউডার এর সঙ্গে বেসন তার সঙ্গে সমপরিমাণ টক দই খুব ভালো করে মিশিয়ে মিশ্রণটিও সপ্তাহে তিন দিন লাগাতে পারেন, টক দইয়ের মধ্যে থাকা উপাদান আপনার ত্বককে পরিষ্কার করে, টান টান করবে। এছাড়া কফির মধ্যে আছে এমন উপাদান যা আপনার ত্বকের কালো অংশ সহজে ফর্সা করে দেবে।
৪) গরম জলের মধ্যে কফি পাউডার বেশ ভালো করে গুলিয়ে কফি বানিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে নিয়ে আপনি এই জলটি যদি ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন, আর মাঝে মধ্যেই তুলোয় করে ভিজিয়ে টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন, তাহলে কিন্তু অসাধারণ হবে। একবার করেই দেখুন, বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ন্যাচরাল হোম মেড টোনার।
৫) অ্যালোভেরা জেল এর সঙ্গে কফি পাউডার খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। আর এর মধ্যে মিশিয়ে নিন ভিটামিন ই অয়েল। যার যেমন ত্বকের শুষ্কতা, সেই অনুযায়ী ভিটামিন ই ক্যাপসুল কম-বেশি করতে পারেন। এটি আপনি নাইট ক্রিম হিসেবে প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার সময় মেখে ফেলুন, দেখবেন ত্বক সুন্দর হয়ে গেছে।
সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।
