ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় (Victor Banerjee) ছিলেন বরাবর ছকভাঙা এক অভিনেতা। তথাকথিত নায়কোচিত নন, কিন্তু তবু তিনিই নায়ক। পাশ্চাত্য ছোঁয়া ছিল ভিক্টরের পুরুষোচিত সৌন্দর্যে। একের পর এক হিট ফিল্ম উপহার দিয়েছেন বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে। তাঁর লিপে কিংবদন্তী গায়ক হেমন্ত মুখোপাধ্যায় (Hemanta Mukherjee) -র গান ‘পথ হারাবো বলেই’ আইকনিক হয়ে রয়ে গিয়েছে। বহুদিন পর তথাগত ভট্টাচার্য (Tathagata Bhattacharya)-র পরিচালনায় বাংলা ফিল্ম ‘আকরিক’-এ দেখা গিয়েছে তাঁকে। ফিল্মটি ইতিমধ্যেই প্রদর্শিত হয়েছে আঠাশ তম আন্তর্জাতিক কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে। ‘আকরিক’-এ ভিক্টরের অভিনয় নিয়ে কথা বলা ধৃষ্টতা। এবার কৃষ্ণেন্দু ভুঁইয়া (Krishnendu Bhuiyan) প্রযোজনায় আবারও বড় পর্দায় দেখা যাবে ভিক্টরকে।
এই ফিল্মের পরিচালক সুব্রত লাহিড়ী (Subrata Lahiri)। কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার তিনিই। চিত্রনাট্য পছন্দ হলে তবেই কাজ করেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ভিক্টর। এই ফিল্মে তাঁর চরিত্র এক বৃদ্ধ ভায়োলিন বাদকের। সিন্থেসাইজারের যুগে ক্রমশ কমে আসছে ভায়োলিনের চাহিদা। সফটওয়্যার কখনও পূর্ণ করছে শূন্যস্থান। ফলে বৃদ্ধ ভায়োলিন বাদক সুরের নেশা ধরাতে জানলেও হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। অথচ অনুষ্ঠান ছাড়াও সিনেমার পর্দার নেপথ্যে কাজ করেছেন বৃদ্ধ। কিন্তু বয়সের সাথে আঘাত পেয়েছে তাঁর শিল্পী সত্ত্বা। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কর্মহীনতা কোনো আঘাতের তুলনায় কম নয়।
বৃদ্ধ ভায়োলিন বাদকের জীবন নিয়ে তৈরি এই ফিল্মের কাহিনী। ফিল্মে ভিক্টর ছাড়াও অভিনয় করছেন মনোজ মিত্র (Manoj Mitra), কল্যাণী মন্ডল (Kalyani Mondal)-এর মতো বিদগ্ধ শিল্পীরা। এই ফিল্মের শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ কিংবদন্তী শিল্পী মান্না দে (Manna Dey)-র গাওয়া শেষ গান যা শোনা যাবে ভিক্টরের কন্ঠে। ফিল্মের সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন মৃণাল বন্দ্যোপাধ্যায় (Mrinal Banerjee)।
‘এই যুগের গান’ শোনা যাবে ভিক্টরের কন্ঠে। তবে বর্ষীয়ান অভিনেতার আক্ষেপ “গলাটা ভেঙে গেছে”। শিল্পীর জীবনে তাঁর শিল্পকে ঘিরে থাকে চড়াই-উতরাই। হার না মানা এক ভায়োলিন বাদকের কাহিনী পর্দায় ফুটে উঠতে চলেছে খুব শীঘ্রই।
View this post on Instagram