whatsapp channel

চুল বাঁধতে জানেন রাঁধতে জানেন না! শ্বশুরবাড়ির খোঁটা শুনতে হয়েছিল বিদ্যা বালনকে

লিঙ্গবৈষম‍্য যেন সমাজের শুরু থেকেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। প্রাচীনকালে রাজসিংহাসনে বসার জন্য নারীকে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে। সমাজের ধারণা, নারীর স্থান রান্নাঘরে। আগে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে এসে পাত্রপক্ষের প্রশ্ন…

Avatar

HoopHaap Digital Media

লিঙ্গবৈষম‍্য যেন সমাজের শুরু থেকেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। প্রাচীনকালে রাজসিংহাসনে বসার জন্য নারীকে রীতিমতো লড়াই করতে হয়েছে। সমাজের ধারণা, নারীর স্থান রান্নাঘরে। আগে বিয়ের জন্য পাত্রী দেখতে এসে পাত্রপক্ষের প্রশ্ন থাকত, শুক্তুনিতে কি ফোড়ন দিতে হয়! একালে বিয়ের আগে থেকেই মেয়েদের রান্না শিখতে বলা হয়। যেমনটা হয়েছিল বিদ্যা বালন (vidya balan)-এর ক্ষেত্রে।

বিদ্যা বলিউডের একজন সফল অভিনেত্রী। তিনি যে ফিল্মে অভিনয় করেন, সেই ফিল্মে নায়কের প্রয়োজন হয় না। বিদ্যা একাই একটি ফিল্ম চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। বিদ্যার সঙ্গে ইউটিভি-র সিইও সিদ্ধার্থ রায় কাপুর (sidhdharth Ray kapoor)-এর বিয়ে হয়েছে। বিদ্যা একজন সেলিব্রিটি হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যার মা বিদ্যাকে বারবার বিয়ের আগে রান্না শিখে নেওয়ার কথা বলতেন। কারণ তাঁর মায়ের ধারণা ছিল, বিদ্যা রান্নার মাধ্যমে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের মন জয় করে নেবেন। কিন্তু বিদ্যা বলেছিলেন, তিনি মাইনে দিয়ে রাঁধুনি রাখার মতো রোজগার করেন। বিদ্যার ইচ্ছা ছিল এমন একজনকে বিয়ে করবেন যিনি নিজে রান্না জানেন।

তবে সিদ্ধার্থ রান্না করতে জানেন না। কিন্তু বিয়ের পর খাবার টেবিলে প্রথম দিন সিদ্ধার্থকে কোনো বক্রোক্তি শুনতে হয়নি। কিন্তু বিদ্যাকে বলা হয়েছিল, তিনি রান্না করতে জানেন না, এটা কোনো অজুহাত নয়, অন্তত বিয়ের পর তাঁর রান্না শিখে নেওয়া উচিত। বিদ্যা বলেছিলেন, রান্না না জানার কারণে তাঁর বা সিদ্ধার্থের কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু বিদ্যার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাঁর কথা শুনতে চাইছিলেন না।

বিদ্যা মনে করেন, এই সমস্ত ক্ষেত্রে মহিলারাই মহিলাদের অপমান করেন। তবে বিদ্যা নিজের মতো করে পরিস্থিতি সামলে নেন। খুব শীঘ্রই ওটিটি প্ল‍্যাটফর্ম অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পাবে ‘শেরনী’। এই ফিল্মে বন বিভাগের এক পদস্থ আধিকারিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন বিদ্যা।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media