সাড়ে সাতটা বাজলেই দর্শকদের ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক দেখা চাই চাই। টিআরপিতে গুনগুন আর সৌজন্যের খুনসুটি প্রথম স্থা দখল করে নিয়েছে৷ সম্প্রতি ধারাবাহিকে পুটু পিসির আর সুকল্যাণের বিয়ে দেখানো কথা ছিল৷ কিন্তু দেবলীনার আত্মহত্যার চেষ্টার জেরে বিয়ে আটকেছে পুটুপিসির আর সুকল্যাণের। সেই নিয়ে পুরো হইচই কাণ্ড ধারাবাহিকে। দীর্ঘদিন পর সুকল্যাণের বিয়ে ছিল এই বয়সে। সকলের সামনে আটকে যাওয়ায় কার্যত ভেঙে পড়েছে পুটুপিসি। এর মধ্যে নিজের ভুল বুঝে তা শুধরে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেবলীনা, তবে মন গলেনি গুনগুন সহ অন্যানদের।
এর মধ্যে বুধবার এপিসোডের আগাম ক্লিপিংস ইতিমধ্যেই নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে এখন চব্বিশ ঘন্টা আগেই স্টার নেটওয়ার্কের সব সিরিয়াল দেখা যায়। সেখান থেকেই খড়কুটোর ফ্যানপেজ গুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে আগামী এপিসোডের কিছু দৃশ্য। এই দৃশ্য দেখে সকলের চোখ চড়ক গাছ। একি করলো গুনগুন। দেবলীনার মতা এবার গুনগুন ও আত্মহত্যার চেষ্টা করলো। কিন্তু গুনগুন এই স্টেপ নিল কেন? এই ধারাবাহিক ইতিমধ্যে অনেকের প্রিয় ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে। দর্শক এই আত্মহত্যা কিছুতেই মানতে পারছেনা।
গুনগুন কেন জ্যাঠাইয়ের ঘুমের ওষুধ খেয়ে নিল? সেই প্রশ্নে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া, হতবাক দর্শকরা। কেন বার বার আত্মহননের কথা এবং দৃশ্য তুলে ধরা হচ্ছে? আসল ব্যপার হল গত সোমবারের এপিসোডেই হঠাৎ জানা যায় বড় জ্যাঠাইয়ের এক মেয়ে রয়েছে তার নাম মুনিয়া। তবে পরিবারের কেউই আজ পর্যন্ত তার নাম কোনো দিন উল্লেখ করেনি। এর মধ্যেই পুটুপিসির সঙ্গে বড়মা এবং জ্যাঠাইয়ের কথা শুনে ফেলে গুনগুন। এবং নিজের স্বভাবমতো পালটা প্রশ্ন করে গুনগুন।এর জেরেই জ্যাঠাইয়ের কাছে মারাত্মক বকা খেতে হয় গুনগুনকে সাথে পুটুপিসির বারণ না শোনায় ব্যাপক বকা খেতে হয় গুনগুনকে। এরপর কাঁদতে কাঁদতে গুনগুন বলে, সে চলে যাবে আর কোনোদিন বিরক্ত করবেনা।
এরপর গল্পে দেখানো হয় সারা বাড়িতে গুনগুনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। বাড়িসুদ্ধ লোক জানেও না গুনগুনের হারিয়ে যাওয়ার কারণ। এরপর আগামী পর্বে, দেখা যায়- বেঞ্চের উপর অচেতন অবস্থায় পরে থাকে গুনগুন। হাতে জ্যাঠাইয়ের ঘুমের ওষুধের শিশি। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, সৌজন্য প্রশ্ন করে, এতে কটা ঘুমের ওষুধ ছিল, জ্যাঠাই বলে পুরো কৌটো ভরা ছিল তো। যা শুনে সবাই আঁতকে ওঠে সকলের।
এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়ে। এই ভিডিও দেখার পর গুনগুনের ফ্যানেরা বেজায় ক্ষুদ্ধ গল্পের পরিচালকের ওপর। অনেকে নিজের রাগ উগরে দিয়েছেন। তবে গুনগুনের অনেক ফ্যানেরা অভিনেত্রীর ওপর আস্থা রেখেছেন। তাঁদের প্রিয় অভিনেত্রী কিছুতেই এমন কোনও কাজ করতে পারেন। রাগ করে হয়ত, কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে সে। অবশ্য আসল সত্যি গতকাল অর্থাৎ বুধবার জানা যাবে।
View this post on Instagram
