Tourism: তিন হাজারেরও কম খরচে ঘুরে আসুন বাংলার সুইজারল্যান্ড থেকে, মন কাড়বে নিরিবিলি পরিবেশ
বর্তমানে সফলতা পাওয়ার ইঁদুর দৌড়ে মানুষ এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে যে নিঃশ্বাস নেওয়ার ফুরসত টুকু পর্যন্ত পাওয়া যায় না সহজে। কর্মব্যস্ত জীবন থেকে যখনি সামান্য অবসর পাওয়া যায়, অনেকের মনই তখন পালাই পালাই করে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এক ছুটে মন চলে যায় কোনো দূর পাহাড়ে (Hill Station)। ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষেরই প্রথম পছন্দ পাহাড়। দূরের পাহাড়ের চূড়া গুলির দিকে তাকিয়ে থাকলে যেন মন থেকে দূর হয়ে যায় সমস্ত অবসাদ, ক্লান্তি। তাই একটানা কাজের ক্লান্তি দূর করতে অনেকেই খোঁজেন পাহাড়ের কোলে কোনো জায়গা যেখানে পাওয়া যাবে এক মুঠো শান্তি।
ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গে পাহাড়ি জায়গা কম নেই। কিন্তু এক্ষেত্রে দুটো দিক মাথায় রাখতে হয়। প্রথমত, হাতে সময় কম থাকলে এমন জায়গা বেছে নিতে হয় যেখানে যাওয়া আসা এবং থাকা মিলিয়ে কম দিনেই মিটিয়ে নেওয়া যায়। দ্বিতীয়ত, খেয়াল রাখতে হয় খরচের দিকটাও। তাই এখন বেশিরভাগ ভ্রমণপ্রেমীরাই যেটা খোঁজেন সেটা হল বাজেটের মধ্যে কোনো অফবিট জায়গা। তেমনি একটি জায়গার খোঁজ দিতেই রইল আজকের এই প্রতিবেদন।
কয়েক দিনের ছুটি হাতে থাকলে নিশ্চিন্তে ঘুরে আসতে পারেন সুইজারল্যান্ড থেকে। চমকে গেলেন? না, এ বিদেশের সুইজারল্যান্ড নয়। এই বাংলাতেই রয়েছে এমন এক জায়গা যেখানে গেলে ভুলে যাবেন সুইজারল্যান্ডের সৌন্দর্য। জায়গাটি হলে তুরুক (Toryok)। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৬৮ কিমি দূরে এই পাহাড়ি জনপদ। প্রকৃতির কোলে নয়নাভিরাম সব দৃশ্যের সমাহার সাজিয়ে ভ্রমনার্থীদের অপেক্ষায় রয়েছে তুরুক। সিটং এর খুব কাছে এই জায়গার অন্যতম আকর্ষণ হল পাইন বন। খুব কাছ থেকেই দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘা রেঞ্জ। উপভোগ করতে পারবেন রসালো কমলালেবুর স্বাদও।
কীভাবে যাবেন তুরুক? থাকবেনই বা কোথায়? নিউ জলপাইগুড়ি থেকেই গাড়ি নিয়ে আসতে পারেন এখানে। তবে শেয়ার গাড়িতে প্রথমে আসতে হবে দিলারাম। সেখান থেকে ফের গাড়ি পালটে আসতে হবে তুরুক। এখানেই ট্যুরিস্টদের জন্য গড়ে উঠেছে বেশ কিছু হোমস্টে, যেখানে বাজেটের মধ্যেই হয়ে যাবে থাকা এবং খাওয়া। তাহলে আর দেরি কেন? কম বাজেটে সুইজারল্যান্ডের পরিবেশ পেতে কেটে ফেলুন তুরুকের টিকিট।