প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাঝেই সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস বাড়াল মমতা সরকার
আরজিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে সারা দেশে। তরুণী চিকিৎসককে খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteer) ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরো কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা তার তদন্ত চলছে। এই আবহেই এবার সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্নের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ বিষয়ে ঘোষণা করা হয়েছে।
এক বারে ১৩ শতাংশ বোনাস বাড়ানো হয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের। এতদিন তারা ৫৩০০ টাকা করে পুজোর বোনাস পেয়ে আসতেন। এবার তা আরো বাড়ল ৭০০ টাকা। অর্থাৎ এবার পুজোয় ৬০০ টাকা বোনাস পাবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির মাঝে নবান্নের এই বিজ্ঞপ্তিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে শুরু করা হয়েছিল এই নতুন পদ। সিভিক ভলান্টিয়াররা আসলে পুলিশের সহযোগী। পুলিশদের মতো ক্ষমতা তাদের নেই। তারা কোনো ঘটনার তদন্ত বা তল্লাশিতে যেতে পারেন না। থানায় জিডি বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কেস ফাইলও দেখতে পারেন না। তবে দীর্ঘদিন ধরে কিছু কিছু জায়গায় এই সিভিক পুলিশদের বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়ছে। বিভিন্ন জেলায় সিভিকদের দিয়ে করানো হচ্ছে আইন শৃঙ্খলার ডিউটি। ধরা না পড়তে তাদের পরানো হচ্ছে জলপাই রঙের উর্দি। সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে লাঠি, ওয়াকিটকি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিভিকদের পাঠানো হচ্ছে তল্লাশিতে।
আরজিকর কাণ্ডে গ্রেফতার সঞ্জয় রায়ও পেশায় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার বলে জানা গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের অন্দরে তাঁর দহরম মহরম অবাক করে দিচ্ছে। তারপরেই লালবাজারের তরফে কলকাতা পুলিশের সমস্ত থানার কাছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।