Hoop News

WB Govt: এই নিয়ম অমান্য করলেই হবে না স্কুল শিক্ষকের চাকরি, বিরাট পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের

শিক্ষা হল জাতির মেরুদন্ড। ব্রিটিশ শাসনকালে দেশবাসীর শিক্ষার আলোকে নিভিয়ে নিজেদের শাসনকাল বাড়াতে চেয়েছিলেন ভিনদেশীরা। তাই হয়তো বিপ্লবীরা স্বাধীনতা আন্দোলনের আগে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। সেই থেকেই দেশে স্কুল ও তার মধ্যে পাঠক্রমের সূচনা হয়। সেই কারণে আজো পশ্চিমবঙ্গের শিশুদের বড় হওয়ার আগেই ভর্তি করা হয় স্কুলে। প্রথমে প্রাইমারি স্কুল, তারপর সেকেন্ডারি স্কুল। এখন থেকেই একটি জিয়াউর জীবনের রূপরেখা তৈরি হয়ে থাকে। তাই গ্রাম থেকে শহর, স্কুলকে আলাদা গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

বর্তমানে বাংলার প্রায় প্রতিটি গ্রামেই রয়েছে প্রাইমারি স্কুল। এছাড়াও হাই স্কুলও তৈরি হচ্ছে প্রায় প্রতিটি গ্রামেই। কিন্তু প্রত্যন্ত এলাকায় স্কুল তৈরি হলেও সেইসব স্কুলের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কারণ বেশিরভাগ সরকারি স্কুলে কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা। তার অন্যতম কারণ হল এইসব সরকারি স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা। একদিকে যেমন অনেক শিক্ষক গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করতে চান না। তেমন আবার যারা গ্রামের স্কুলে রয়েছেন, তারা ট্রান্সফার নিয়ে শহরের স্কুলে চলে যেতে চাইছেন।

তবে এবার এই বিষয়টি রুখতে বিশেষভাবে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। জানা গেছে, এবার থেকে গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা করা বাধ্যতামূলক করার মতো কোনো নিয়ম লাগু করতে চাইছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এই বিষয়ে সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, “গ্রামে শিক্ষকতাকে আমরা বাধ্যতামূলক করব এবং অতি শীঘ্রই যে এই পদক্ষেপ গৃহীত হবে”। জানা গেছে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য চলতি সপ্তাহেই স্কুল সার্ভিস কমিশন ও শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন শিক্ষামন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই উচ্চপ্রাথমিকের কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়। আর এই কাউন্সেলিংয়ের সময় দেখা গেছে যে, চাকরিপ্রার্থীরা গ্রামের স্কুলে শিক্ষকতা ক্ষেত্রে অনীহা দেখিয়েছেন। সূত্রের খবর, এদিন ২৫ জন চাকরিপ্রার্থী কাউন্সেলিংয়ে এসেও স্কুল পছন্দ না হওয়ার কারণেই চাকরিতে যোগদান করেননি। বিশেষ করে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার মতো জেলাগুলিতে কেউ শিক্ষকতা করতেই রাজি নন। তাই এবার এই সমস্যার সমাধানে গ্রাম্য শিক্ষকতাকে বাধ্যতামূলক করছে রাজ্য সরকার।

whatsapp logo

Debaprasad Mukherjee

Hoophaap-এর সম্পাদক দেবপ্রসাদ বিগত কয়েক বছর যাবৎ সাংবাদিকতার সঙ্গে যুক্ত। ডিজিটাল মিডিয়ার হাত ধরেই সাংবাদিকতায় হাতেখড়ি। রাজনীতি, বিনোদন, খেলাধুলা, লাইফস্টাইল, প্রযুক্তি প্রভৃতি সব ধরণের খবরের উপস্থাপনার কাজে যথেষ্ট সাবলীল। নিউজ ডেস্ক ছাড়াও রয়েছে ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার পিছনে বিচিত্র অভিজ্ঞতা