কুয়াশার চাদরে মুড়ে গিয়েছে শহর, হাড়কাঁপানো শীতের দাপট দুই বঙ্গে
জানুয়ারির শুরুতে রাতে অল্প ঠান্ডা থাকলেও দিনে রোদের তেজ ছিল বেশ। ফলে অনেক সময়ই ঘরের মধ্যে পাখা ঘোরাতে হয়েছে। আর এতেই অনেক ঠান্ডা লেগে শরীর খারাপ হয়েছে। শীত আর ফিরবে কিনা তা নিয়ে সংশয় ছিল বাঙালীর। কিন্তু মকর সংক্রান্তির সকাল থেকে শীতের আমেজ টের পাচ্ছে বঙ্গবাসী। মকর সংক্রান্তি শেষ, মাঘ মাস শুরু হতে না হতে ফের জাঁকিয়ে হাঁড় কাঁপানি ঠান্ডা পড়লো। আর এই শীতে কাবু হচ্ছে বাঙালি। অনেকে ভেবেছিল বুঝি শীত পালিয়েছে। মাঝে শীত ছুটি নিলেও আবার আরো শক্তিশালী হয়ে ফিরেছে এখন। উত্তুরে হাওয়ার জেরে আরো শীত পড়েছে। ফের শীত ফেরায় খুশি রাজ্যবাসী।
মাঘ মাসের মধ্যিখানে এখনো শীত পালায়নি। প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনের সকালে কলকাতা সহ অন্যান রাজ্যে ফের কমলো তাপমাত্রা। একইসঙ্গে ছিল কুয়াশার দাপটও এখন আপাতত সূর্যি মামার ছুটি। কেমন থাকবে একনজরে দেখে নেওয়া যাক। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমান ৫৬ শতাংশ। আগামী ২ দিন রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি পর্যন্ত কমে আসতে পারে। এছাড়াও আগামী ২৪ ঘণ্টায় কোনও কোনও জায়গায় ঘন কুয়াশা দেখা দিতে পারে বলে জানানো হয়েছে। ঠান্ডা থাকবে উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ায়।
উত্তর ভারতে এখনও জোরালো ঠাণ্ডার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। এই পরিস্থিতিই বজায় থাকছে দুই জায়গায়। শৈত্য প্রবাহের পাশাপাশি কুয়াশার দাপট বজায় থাকবে৷ ফলে গোটা উত্তর ভারত জুড়েই অসম্ভব শীতের পরিস্থিতি বজায় থাকবে৷ মৌসম বিভাগ জানিয়েছে, এই পশ্চিমি ঝঞ্ঝা নাকি জম্মু কাশ্মীর থেকে উত্তর পূর্বের দিকে এগোচ্ছে ৷ অবশ্য তুষারপাতের সম্ভাবনা আছে। উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাবের কিছু অংশ, হরিয়ানাতে শৈত প্রবাহ দেখা যাবে।