ফাল্গুনের মাঝপথেই গ্রীষ্মকাল শুরু, চড়া তাপমাত্রার সঙ্গেই বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস জারি
তফাৎ মাত্র ১ মাসের। হ্যাঁ ১ লা ফেব্রুয়ারী ছিল কনকনে ঠান্ডা। ঠান্ডার জেরে মানুষ লেপের তলা থেকে বেরোতো না। আর মাস৷ গড়াতে না গড়াতে ১ লা মার্চ প্রবল গরমে মানুষ পাগল হয়ে যাওয়ার জের। শীত যেতে না যেতেই গরম এসে হাজির দরজায়। এদিকে আবহাওয়ার ক্যালেন্ডারে এখন বসন্ত কাল। কিন্তু এটা বসন্ত না গ্রীষ্ম সেটা বোঝা দায় হয়ে উঠেছে। বাঙালী ক্যালেন্ডারে এটা ফাল্গুন মাঝ পথ এখনো চৈত্র মাস বাকি, প্রকৃতি এখন থেকে বৈশাখের ট্রেলার দেখানো শুরু করে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারীর শেষ থেকেই রোজই ক্রমাগত বেড়ে চলেছে তাপমাত্রার পারদ চড় চড় করে।
আজ সোমবার কলকাতা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকালের দিকে আবছা রোদেলা আকাশ বেলার দিকে সূর্যের তাপের পরিমাণ বেড়েছে। সকাল থেকে মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করায় হালকা রোদের তেজ অনুভূত। তবে বেলা বাড়তেই রোদের তেজ আরও কড়া হতে পারে বলে ধারণা করা হয়েছিল পূর্বেই। এবং রাতের দিকে হাল্কা হাওয়া দিতে পারে। মাঝ ফাল্গুনেই যেন বৈশাখের ছোঁয়া লেগে গিয়েছে। এখনই যা সূর্য মামার যা তেজ দেখা যাচ্ছে, তাতেই গা পুড়ে যাওয়ার যোগাড় হয়েছে বঙ্গবাসীর। এরপর তাহলে কি হবে প্রশ্ন অনেকের।
অন্যদিকে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের কিছু এলাকাতে বজ্রবিদ্যুত্ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দার্জিলিং ও কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুর দুয়ারের কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি ও হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিমের পার্বত্য এলাকায় আছে বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে দক্ষিণে কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা হাওড়া হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরে সকালের দিকে কুয়াশার থাকলে ও কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই৷ দিন বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রার পরিমাণ আরো বাড়বে জানালেন আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।