Tourism: একদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন কলকাতার খুব কাছেই এই মিনি ডুয়ার্স থেকে
কথাতেই আছে, বাঙালিরা বেড়াতে যেতে ভীষণ ভালোবাসে। তার মধ্যে যা শীত পড়েছে, এর মধ্যে একটু ব্যাগ গুছিয়ে বেড়াতে না গেলে যেন মনটা ঠিক ভালোই লাগে না। তবে সব সময় বেড়াতে যাওয়ার জন্য পকেটে উপযুক্ত পরিমাণে টাকা থাকে না, তখন কিন্তু মনটা বেশ ভার হয়ে যায়, মনে হয় শুধুমাত্র টাকার জন্যই বোধহয় আর পৃথিবীটাকে দেখে আসা হবে না, কিন্তু সেই সমস্ত দুঃখ ভুলে আজকে আমাদের ডেস্টিনেশন দক্ষিণের মিনি ডুয়ার্স, শুনে বোধহয় একটু অবাক হলেন?
শুনে হয়তো অনেকেই ভাবছেন যে ডুয়ার্স মানেই তো উত্তরবঙ্গে অর্থাৎ পাহাড়ি জায়গার পাদদেশে যে জঙ্গলাকীর্ণ জায়গা, তাই তো ডুয়ার্স নামে পরিচিত। কিন্তু ওইখানে ডুয়ার্সে যাওয়ার মত হয়তো অনেকেরই এই মুহূর্তে পকেটে খুব একটা মজুদ টাকা নেই তাই অগত্য যদি ডুয়ার্স বেড়াতে যেতে চান তাহলে আমাদের আজকের ডেস্টিনেশন দক্ষিণের এই ছোট্ট ডুয়ার্স। যারা হয়তো উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে বেড়াতে গেছেন তাদের হয়তো এই জায়গাটি ভালো নাও লাগতে পারে, কিন্তু যারা সেই সৌভাগ্য এখনো হতে পারেনি তাদের কিন্তু এই ছোট্ট ডুয়ার্স মন্দ লাগবে না।
এত গল্প শোনার পরে নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে এত সুন্দর জায়গা কোথায় আছে? রবিবার গুলোতে তো একবার ঘুরে আসা যেতেই পারেন। ঠিক ধরেছেন, এই এত সুন্দর জায়গাটি হল আমাদের বাড়ির খুব কাছে ঝালুয়াড়বেড়। সোশ্যাল মিডিয়া দৌলতে জায়গাটি কিন্তু বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে আস্তে আস্তে তবে যারা একাকীত্ব পছন্দ করেন যারা পরিবেশ দেখতে পছন্দ করেন বা যারা ছবি তুলতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য কিন্তু এই জায়গাটি ভীষণ সুন্দর এই জায়গায় গিয়ে যদি অনেক কিছু দেখার আশা করেন তাহলে আপনি আশাহত হবেন৷ কিন্তু যদি একাকীতে প্রকৃতির সঙ্গে কাটাতে চান, তাহলে আপনার উপযুক্ত ডেস্টিনেশন হতেই পারে এই জায়গাটি।
হাওড়া থেকে আমতাগামী লোকালে ৪০ মিনিটের পথ অতিক্রম করলেই আপনি পেয়ে যাবেন অসাধারণ এই জায়গাটি, এই জায়গার মূল আকর্ষনই হলো ট্রেন থেকে নামার পরে অর্থাৎ এর রেল স্টেশন। এর পিছনে থাকা ঘন গভীর জঙ্গল আপনাকে কিন্তু ডুয়ার্সের কথা মনে করিয়ে দেবে। স্টেশন থেকে নেমেই আপনি দেখতে পাবেন কাছে পিঠে একটি কালীমন্দির আছে। আর কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় বিশাল ঘন অরণ্য আছে বিশেষত যারা কলকাতার বাড়ি ঘরের থাকেন, তাদের কাছে কিন্তু এমন ছোটখাটো একটা মিনি ডুয়ার্স খুব একটা খারাপ লাগবে না।
মন্দির দর্শন করার পর ঘুরে আসতে পারেন বাঁশ গাছের গুহা থেকে। মানে সবমিলিয়ে প্রকৃতির সঙ্গে দুরন্ত একটু সময় কাটানো তবে স্থানীয় লোকেরা বলে রেলস্টেশন কিন্তু একটু সন্দেহ হওয়ার পর থেকেই খুব একটা আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে না। অর্থাৎ এখানে শেয়ালের তাণ্ডব দেখা যায়। মানে বুঝতেই পারছেন প্রায় বিলুপ্ত প্রাণী হয়ে যাওয়া শিয়াল যখন এখানে আছে তাহলে মাঝেমধ্যে হুক্কা হুওয়া ডাক আপনি শুনতেই পারেন, তবে সে রিস্ক নেওয়ার কোন দরকার নেই। সূর্যাস্তের পর পরে সেখান থেকে চলে আসতে পারেন কিন্তু মন্দ হবে না।