Vacation: পাহাড়ে ঘেরা লেকের জলে বোটিং, নামমাত্র খরচে ঘুরে আসুন ‘বাংলার আন্দামান’ থেকে
‘কালা পানি’, স্বাধীনতার আগে এই শব্দদুটিই ভয় ধরাতো ভারতবাসীর মনে। কিন্তু এখন বিষয়টা সম্পূর্ণ আলাদা। এই কালাপানিই আজ অন্যতম জনপ্রিয় টুরিস্ট ডেস্টিনেশন আন্দামান নিকোবর (Andaman and Nicobar)। বছর ভর সমুদ্র পাড়ি দিয়েই এই দ্বীপপুঞ্জে ছুটি কাটাতে যায় পর্যটকরা। তবে আন্দামান ট্রিপের খরচ কম নয়। উপরন্তু হাতে যথেষ্ট সময় নিয়েও যেতে হয় এই ভ্যাকেশনে। অনেকের পক্ষেই তা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে মন খারাপ করার দরকার নেই। এই বাংলাতেই এমন এক জায়গা রয়েছে, যেখানে গেলে ভুলে যাবেন আন্দামান না যাওয়ার দুঃখ।
বাংলার বুকেই যে এক ‘মিনি আন্দামান’ রয়েছে তা অনেকেই জানেন না। সুবিস্তৃত নীল জলরাশি চাই? পাবেন। জল চিরে সবেগে এগিয়ে চলা রাজহংসের মতো স্পিড বোট চাই? পাবেন সেটাও। কলকাতা থেকে মাত্র ঘন্টা চারেক দূরত্বেই রয়েছে এই স্বপ্নপুরী। জায়গাটির নাম মাইথন (Maithon)। ঝাড়খন্ডের বহুল প্রচলিত এবং জনপ্রিয় এই জায়গাটি বছরের পর বছর ধরে পর্যটকদের মন জয় করে আসছে। বাজেটের মধ্যে এবং সময় বাঁচিয়ে প্রকৃতির শোভা উপভোগ করার জন্য এর থেকে ভালো জায়গা খুব কমই আছে।
তিন দিক ঘেরা পাহাড় আর মাঝে মাইথন লেকের শান্ত জল মন ঠাণ্ডা করে দেয়। এই লেকের জলেই রয়েছে ওয়াটার স্পোর্টস এবং বোটে করে ঘোরার ব্যবস্থা। এছাড়া মাইথন বাঁধ তো রয়েছেই। পর্যটকরা অনেকে ৩০০ সিঁড়ি ভেঙে অমরনাথ শিব মন্দিরও দেখতে যান। সারা বছর মাইথনে পর্যটকদের আনাগোনা থাকলেও শীতকালে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায় এখানে।
কীভাবে যাবেন মাইথন? হাতে যদি দিন দুয়েকের ছুটি থাকে তাহলে চোখ বুজে ঘুরে আসতে পারেন মাইথন থেকে। যাওয়া আসার ধকল এবং খরচ দুটোই হবে কম। কলকাতা থেকে আসানসোল যাওয়ার যে কোনো ট্রেন ধরেই পৌঁছে যান আসানসোল। সেখান থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করতে হবে। এরপরেই পৌঁছে যাবেন সোজা মাইথন। এখানে পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন মানের এবং দামের হোটেল, হলিডে হোম রয়েছে। পছন্দ মতো একটি বেছে নিতে পারবেন।