গত পাঁচ বছর আগে অবধি মানুষের কাছে গণ মাধ্যমের অপর নাম ছিল সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও রুপোলি পর্দা। কিন্তু বর্তমানে এসবকে ছাপিয়ে গেছে ডিজিট্যাল মাধ্যম। এখন মোটামুটি সব বয়সের মানুষই মোবাইল নির্ভর হয়ে পড়ছেন। তাই এখন বিনোদন ও মনোরঞ্জনের অন্যতম যন্ত্র ‘মোবাইল’ মানুষের কাছে সর্বেসর্বা হয়ে উঠেছে। আর এই ভ্রাম্যমান যুগে স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে ওয়েবসিরিজের জনপ্রিয়তা।
শর্ট ফিল্ম ও ওয়েবসিরিজের জন্য বর্তমানে একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম উপলব্ধ অন্তর্জালিক মাধ্যমে। এখানে মোটামুটি সমস্ত বয়সের দর্শকদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করা হয়। তবে যেখানেই নিষিদ্ধতা সেখানেই মানুষের আগ্রহ বেশি – এই তত্বকে কাজে লাগিয়েই বর্তমানে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে বেশ কিছু হিন্দি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। যার মধ্যে অন্যতম হল – উল্লু, এমএক্স অনলাইন, কোকু প্রভৃতি। তবে আজকাল ইউটিউবে একাধিক স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ভাইরাল হচ্ছে দিনের পর দিন।
সম্প্রতি, এমনই একটি তেলেগু ভাষার স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর এই ছবিটি হল ‘হোয়াট ইফ’। এই শর্ট ফিল্মের গল্প একটু অন্যরকম। এই ছবির শুরুতেই দেখা যাচ্ছে এক সুখী দম্পতিকে। তাদের দাম্পত্য সুখের নানা দৃশ্য দেখানো হয়েছে ছবিতে। তবে মাঝে তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় এবং তা থেকে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু তাতেও ইগোর বশবর্তী হয়ে দুজন দুজনকে যোগাযোগ করা বন্ধ করে দেয়। এরপর দুজনেই নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু তার মাঝেও দুজন দুজনকে মিস করতে শুরু করে। তারপরেই গল্পে আসে ক্লাইম্যাক্স।
এই সিরিজে একাধিক সাহসী ও ঘনিষ্ঠ দৃশ্য রয়েছে। আর সেই কারণেই শর্ট ফিল্মটি গোপনে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কমবয়সী দর্শকদের মধ্যে এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবিকে ঘিরে উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। যেহেতু ছবিটি একটি সম্পর্কের টানাপোড়েনকে নিয়ে তৈরি হয়েছে, তাই এটি আরো বেশি করে মাত্রা পেয়েছে। এই ছবিটি দেখতে হলে ইউটিউবে ‘ওয়ান মিডিয়া তেলেগু’ চ্যানেলে যেতে হবে।