whatsapp channel

মধুবালা দেবী কি সত্যিই সমর্থন করেন শিমুলকে!

‘মেয়েরা মেয়েদের শত্রু’ , সমাজ মনে করে। কিন্তু কারণ কোনোদিনই কেউ অনুসন্ধান করেননি। ইতিহাসে একসময় মেয়েদের স্থান যথেষ্ট সম্মানজনক থাকলেও পরবর্তীকালে তা অবনমিত হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘কার…

Avatar

Nilanjana Pande

‘মেয়েরা মেয়েদের শত্রু’ , সমাজ মনে করে। কিন্তু কারণ কোনোদিনই কেউ অনুসন্ধান করেননি। ইতিহাসে একসময় মেয়েদের স্থান যথেষ্ট সম্মানজনক থাকলেও পরবর্তীকালে তা অবনমিত হয়েছে। সাম্প্রতিক কালে জি বাংলার ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’-য় উঠে আসছে বিভিন্ন প্রশ্ন। ধারাবাহিকের কাহিনী নারীকেন্দ্রিক। মুখ্য চরিত্র শিমুল ও তার শাশুড়ি মধুবালা। ধারাবাহিকের শুরুতে নববধূ শিমুলের প্রতি মধুবালার বৈরি আচরণে সকলে মনে করেছিলেন, আবারও শুরু হতে চলেছে শাশুড়ি-বৌয়ের কূটকাচালী। কিন্তু চিত্রনাট্য যত এগিয়েছে, ততই যেন সামনে এসেছে মধুবালার কষ্টের কথা।

শৈশবে বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসার পর থেকে মধুবালার জীবনে শুধুই না পাওয়া। নিজে বাড়ির বৌ হিসাবে পেয়েছেন রূঢ় ব্যবহার। ফলে শিমুল বিয়ে করে তাঁর পুত্রবধূ হয়ে আসার পর মধুবালা অযৌক্তিক ভাবে ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন তাঁর প্রতি হওয়া শ্বশুরবাড়ির আচরণ। পছন্দ ছিল না শিমুলের নাচ। কোনোদিনই মধুবালা চাননি, সুখে থাকুক শিমুল। ফুলশয্যার রাতে পুত্রবধূকে বাধ্য করেছেন সোফায় শুতে। কিন্তু একসময় শিমুলই সাজিয়ে এনেছে শাশুড়ির জন্য খাবারের থালা। তার আচরণে মধুবালা বুঝতে পেরেছেন, কি ভুল করতে চলেছিলেন তিনি। স্পষ্টকথনের মাধ্যমে শিমুল প্রতিবাদ করেছে মধুবালার অন্যায় আচরণের। কিন্তু শাশুড়ির সাথে হওয়া অন্যায় আচরণকেও মেনে নেয়নি সে।

মধুবালা পাল্টে গিয়েছেন। অথবা প্রকৃত মধুবালা এসেছেন সামনে যিনি এক অত্যাচারিত নারী। পুত্রবধূর প্রতি ছেলেদের খারাপ আচরণের প্রতিবাদ করেছেন মধুবালা। কিন্তু পরাগ ও পলাশ পাল্টাতে রাজি নয়। দুর্গাপুজোর দশমীর দিন প্রতীক্ষার সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে তারা বিষ খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে শিমুল। কিন্তু সে বেঁচে যায়। কিন্তু এরপর শিমুল তার স্বামী পরাগের উপর নেয় মিষ্টি প্রতিশোধ। সে স্বামীর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা আদায় করে ননদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলে। পাশাপাশি শাশুড়ির খরচ চালানোর জন্য দাবি করে পরাগের মাইনের অর্ধাংশ।

কিন্তু মধুবালা শিমুলকে বলেন পরাগকে ডিভোর্স করে অন্য কাউকে বিয়ে করতে। শিমুলকে মেয়ের মতো করেই বিদায় জানাবেন তিনি। কিন্তু মধুবালাকে ছেড়ে যায় না শিমুল। কিন্তু যখন আগামী পর্বে শিমুলের শ্বশুরবাড়িতে তার বন্ধু শতদ্রুর ব্যাগ থেকে প্রচুর সোনা পাওয়া যাবে, তখনও কি অটুট থাকবে শাশুড়ি-বৌমার সম্পর্কের রসায়ন? প্রশ্নের উত্তর রয়েছে ভবিষ্যতের গর্ভে।

whatsapp logo