দেশে ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন বলিউডের কুইন কঙ্গনা রানাউত। তার মাশুল অবশ্যই তাঁকে দিতে হয়েছিল। কখনো ভেঙে দেওয়া হয়েছে তার মণিকর্ণিকা অফিস তো কখনো তার মনোবল। কিছুদিন আগেও কৃষক বিল নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন, এর জন্যেও তাঁকে ধমকি ও হুমকি দুইই শুনতে হয়। এবারে কঙ্গনা সরাসরি তার ইন্সটাগ্রামে এলেন এবং তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া অত্যাচার নিয়ে সরব হলেন। এদিন কঙ্গনা সুপ্রিম কোর্টের কাছে প্রকাশে জানতে চাইলেন তার নিরাপত্তা নিয়ে।
কঙ্গনা এদিন তাঁর ভিডিয়োতে বলেন, “গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে আমার সঙ্গে কী ধরণের আচরণ করা হচ্ছে। আমার বাড়ি বেআইনিভাবে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমার নামে একের পর এক মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আমি হেসেছি বলেও আমার বিরুদ্ধে কেস ঠুকে দেওয়া হচ্ছে! আমার দিদি, রঙ্গোলি যখন কোভিড-১৯ লকডাউনের সময় চিকিত্সকদের উপর হওয়া আক্রমণ নিয়ে সরব হয়েছিল তখন আমার নামেও মামলা দায়ের করা হয়, অথচ আমি তখন টুইটারে ছিলামই না!” কঙ্গনার কথামত তাঁকে সমন পাঠানো হলেও তিনি জানেন না ঠিক কী অপরাধে তাঁকে বয়ান রেকর্ড করতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এমনকি তাঁর মাথার উপর রয়েছে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ, উল্লেখ্য বান্দ্রা আদালতের নির্দেশে মুম্বই পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছিল কঙ্গনার বিরুদ্ধে অক্টোবর মাসে। এরপরেই কঙ্গনা ও রঙ্গোলি উভয়েই এই এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে নভেম্বরে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন তাঁর আইনজীবী জানান, “কেউ যদি সরকারের সুরে সুর না মেলান তাহলেই কি সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ বলে বিবেচিত হবে?”
View this post on Instagram
এদিন বলিউড কুইন আরও বলেন, “আমি মাননীয় সুপ্রিম কোর্টের কাছে জানতে চাই আমরা কি মধ্যযুগে বসবাস করছি? যেখানে মেয়েদের জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়া হত, তাঁরা কোনও প্রতিবাদ করতে পারত না। গোটা বিশ্ব এই অবিচার দেখতে পাচ্ছে। আমি মানুষজনকে এটাই বলতে চাই, যাঁরা আজকে এই তামাশা দেখে খুশি হচ্ছেন, হাততালি দিচ্ছেন.. যদি জাতীয়তাবাদের আওয়াজ এইভাবে বন্ধ করা হয়, তাহলে হাজার বছরের গোলামিতে আমাদের যে যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে, ফের তেমনটাই করতে হবে।”