Loksabha Election: ৪০০ দূরস্ত, ২৩৯-এই থামল বিজেপি, কোন ভুলে ফিকে হল মোদী ম্যাজিক!

চমকের নজির হয়ে রইল ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন (Loksabha Election)। এনডিএ বনাম ইন্ডিয়ার লড়াইয়ে এক্সিট পোলের সমস্ত হিসেব নিকেশ উড়িয়ে দিয়ে খেল দেখাল জনতার রায়। কেন্দ্রে এনডিএ ক্ষমতায় এল বটে কিন্তু গত বারের তুলনায় আসন সংখ্যার তারতম্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) জয়ে ভোটের ব্যবধান এটা স্পষ্ট করে দিয়েছে, পাঁচ বছরে অনেকটাই বদলেছে দেশবাসীর চিন্তাভাবনা।

আসন কমেছে লক্ষণীয় ভাবে

এবার নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই ৪০০ পার করার আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে ২৫০ ও পেরোতে পারল না পদ্ম শিবির। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে যেখানে ৩০৩ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি, সেখানে এবার আসন সংখ্যা এসে ঠেকেছে মাত্র ২৩৯ এ। আসেনি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাও। এমনকি প্রধানমন্ত্রী বারাণসীতে জয় পেলেও ভোটের ব্যবধান কমেছে লক্ষণীয় ভাবে। গণনার শুরুতে রীতিমতো পিছিয়ে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারপর ব্যবধান ক্রমশ বাড়ালেও মোটে দেড় লক্ষ ভোটে জয়ী হন তিনি। গত বারের তুলনায় জয়ের ব্যবধান কমেছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ।

‘মোদীর গ্যারান্টি’তেও ভিজল না চিঁড়ে

কিন্তু বিজেপির এত শোচনীয় অবস্থার কারণ কী? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এবারে ধর্মীয় জিগির নয়, উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের উপরে ভিত্তি করে ভোট দিয়েছে জনতা। এবার প্রচারের প্রতি পদে পদে ‘মোদীর গ্যারান্টি’র কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্কল্পপত্র ইস্তাহার প্রকাশের সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য চালু থাকবে বিনামূল্যে রেশন বন্টন প্রকল্প। এটা মোদীর গ্যারান্টি। শুধু তাই নয়, পাইপলাইনের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি গ্যাস সরবরাহ, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের আওতায় সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সম্ভবত এই প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে পারেননি অনেকেই।

কাজে আসেনি রাম মন্দির ইস্যু

প্রচারে এক সময় ধর্মীয় অনুষঙ্গও টেনেছে বিজেপি। বিশেষ করে নির্বাচনের ঠিক আগে আগে অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা করে প্রচারে রাম মন্দির ইস্যুকে লাইমলাইটে আনার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু খাস অযোধ্যাতেই বিজেপির শোচনীয় হার স্পষ্ট করে দিয়েছে, রাম মন্দির ইস্যু তেমন কাজে আসেনি প্রচারে। বিরোধীদের সঙ্গে এনডিএর আসনের ফারাক ৬০ এর কিছু বেশি। এমতাবস্থায় সরকার চালাতেও বিজেপি চাপে পড়তে পারে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।