Hoop Story

Ranu Mondal: বারংবার ভাইরাল হয়েও আর ফেরেনি ভাগ্য, হাঁড়িতে অন্ন চড়েনা ‘লতাকন্ঠী’ রানু মন্ডলের!

ইউটিউব খুললেই ইদানিং কালে আবারও দেখা যাচ্ছে রাণু মন্ডল (Ranu Mondal )-কে। রাণাঘাটের স্টেশন থেকে বলিউডের গায়িকা হতে গিয়ে আজ তিনি মিম, ট্রোলের বস্তু হয়ে উঠেছেন। গত মাসে শোনা গিয়েছিল, তাঁকে নিয়ে বানানো হবে ফিল্ম ‘রাণু মারিয়া’। কিন্তু…. আসলে তাঁর জীবনের সঙ্গে ভীষণ ভাবে জড়িয়ে গেছে এই শব্দটি।

কয়েক বছর আগে নদিয়ার রাণাঘাট স্টেশনে বসে তিনি যখন ‘এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়’ গাইছিলেন, তখন তথাকথিত সমাজসেবী অতীন্দ্র (Atindra)-র দৌলতে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। বয়েছিল সহানুভূতির বন‍্যা। তারপর একসময় দেখা গেল হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshmiya)-র সুরে ‘তেরি মেরি কহানী’ গাইছেন রাণু। ভাইরাল হল সেই গানও। একাধিক সাক্ষাৎকার ও রোজকার সংবাদ তখন রাণুকে ঘিরেই। শোনা গেল, রাণুকে নাকি মুম্বইতে ফ্ল্যাট উপহার দিয়েছেন সলমান খান (Salman Khan)। পরে সলমান তা গুজব বলে উড়িয়ে দেন। রাণুকে ঘিরে এয়ারপোর্টে লেগে থাকত সাংবাদিকদের ভিড়। এরপর কি আশা করা যায়? রাণু থাকবেন মুম্বই বা কলকাতার এক নামজাদা অ্যাপার্টমেন্টে। থাকবে না তাঁর কোনো অভাব।

কিন্তু বাস্তব বড্ড নিষ্ঠুর। রাণু আবারও ফিরেছেন তাঁর সেই ভাঙা বাড়িতেই। নোনা ধরা দেওয়াল, পুরানো কিছু বাসনপত্র নিয়ে তাঁর জীবন যাপন। মাঝে ভিক্ষা করছিলেন। কিন্তু করোনা অতিমারীর কারণে লকডাউনের ফলে তাও বন্ধ। তবে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে মাঝে মাঝে খাবার জুটে যায়। একসময় এয়ারপোর্টে তাঁর বিরক্তি দেখেছেন সবাই। অনুরাগীরা তাঁকে স্পর্শ করবেন, তা পছন্দ করেননি রাণু। আজ সবাই রাণুর এই পরিস্থিতি দেখে বলেন, অহংকারের পতন।

কিন্তু যখন একাধিক বলিউড সেলিব্রিটি সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন অথবা অনুরাগীদের পাত্তা না দিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান, তাঁদের ট্রোল হতে হয়। তাঁদের অহংকারের পতন হয় না। তাহলে রাণুকে ঘিরে কেন এত সমালোচনা? ধীরে ধীরে মানসিক বিভ্রান্তির শিকার হচ্ছেন রাণু। কখনও তাঁকে দেখা যায় খুব ভালো ব্যবহার করতে। কখনও বা মানুষের শরীর থেকে কটু গন্ধ পান। তবু তাঁকে ঘিরে ট্রোল। অথচ কেউ একবারও জিজ্ঞাসা করেননি, রাণু অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বা গান গেয়ে যে অর্থ উপার্জন করেছেন, তা গেল কোথায়? নাকি রাণুকে অন্য কেউ ব্যবহার করছেন দাবার বোড়ে হিসাবে?

তবু রাণু কিছুদিন আগে ‘মানিকে মাগে হিথে’ গেয়েছেন। এত অভাবের মধ্যেও কন্ঠস্বর এখনও আগের মতোই সুন্দর। আসলে রাণুরা মনে হয় এভাবেই বেঁচে থাকেন, শেষ হতে হতেও শেষ না হওয়ার লড়াই করে।

whatsapp logo