Hoop Life

Hill Station: দীঘা-পুরী ঘুরে ক্লান্ত! এবারের পুজোর ছুটি কাটান পাহাড়ে ঘেরা নিরিবিলি গ্রামে

দার্জিলিং থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটারের মধ্যেই আপনি ঘুরে আসতে পারেন একটি অচেনা অজানা গ্রামে। দীঘা, পুরী, দার্জিলিং তো অনেক হলো, এবার নিজেকে যদি একটু সবুজ পরিবেশের মধ্যে হারিয়ে ফেলতে চান, তাহলে এই জায়গাটি আপনার জন্য একেবারে উপযুক্ত। হানিমুন হোক কিংবা গোটা পরিবারের সঙ্গে কয়েকটা দিন একটু সময় কাটানো, দেখবেন এই জায়গাটি আপনাকে একেবারে পাগল করে দেবে। তাই আর দেরি না করে জেনে নিন দার্জিলিংয়ের ভেতরে এই ছোট্ট গ্রামে আপনি কিভাবে যাবেন এবং কোথায় থাকবেন গিয়ে, কি কি দেখবেন, এই সব নানান খুঁটিনাটি।

দার্জিলিং থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার এবং সোনাদা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামের নাম চটকপুর। ঘুম, সোনাদা হয়ে আপনি চটজলদি পৌঁছে যেতে পারেন এই ছোট্ট গ্রামে। তবে এখানে পৌঁছনো একেবারেই সুখকর নয়, এখানে যেতে গেলে আপনাকে যথেষ্ট কষ্ট করতে হবে। প্রকৃতির অসাধারণ রূপ দেখে আপনি এখানে যাওয়ার কষ্টটাই ভুলে যাবেন।

তাই একবার কষ্ট করে চলে যান, দেখবেন আপনি আপনার সমস্ত কষ্টকে ভুলে গেছেন প্রকৃতির কোলে। এখানে গেলে দেখে আসবেন কালোপোখরি , লাভারস পয়েন্ট, সানরাইজ পয়েন্ট প্রভৃতি অসাধারণ জায়গা। কালোপোখরি জলাশয় এর মধ্যে বড় পাথর আছে। এই পাথরটিকে রীতিমতন সেখানকার স্থানীয়রা পুজো করেন, জঙ্গলের প্রাণীরা এখানে জল খেতেও আসে। এখানে আসতে গেলে আপনাকে সকাল এবং সন্ধ্যেবেলা বাইরে বেরিয়ে প্রকৃতির শোভা নিতে। এই দুই সময়ে এখানকার সৌন্দর্য যেন আরও দ্বিগুন হয়ে যায়। পাইনের জঙ্গলে নিজেকে যেন কোথাও একটা হারিয়ে ফেলবেন নিমেষের মধ্যে।

সিঞ্চল ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারির অন্তর্গত ছোট এই গ্রাম। এই চটকপুর আসলে একটি ইকো ভিলেজ। এই গ্রামে সব কিছুই পরিবেশবান্ধব। ৭৮৮৭ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই অসাধারণ গ্রাম। এখানে গেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে। ছোট গ্রামে মাত্র ১৯ টি পরিবার বাস করে। তাদের আতিথেয়তা, ভালোবাসায় কংক্রিটের জঙ্গলকে বেশ কিছুদিনের জন্য হলেও ভুলে থাকতে পারবেন।

কিভাবে যাবেন –

আকাশপথ – এখান থেকে নিকটতম বিমানবন্দর হল বাগডোগরা। প্রায় ৮০ কিলোমিটার দূরের দিল্লী, গুয়াহাটি এবং কলকাতার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।

রেলপথ – জলপাইগুড়ি অথবা শিলিগুড়ি থেকে সহজেই ট্রেনে করে ঘুম পৌঁছতে পারেন, আর এই ঘুম থেকে জায়গাটি অনেক কাছে।

রাস্তা – কাছেই আছে NH 55. যা অভয়ারণ্য পাশ দিয়ে চলে গেছে। দার্জিলিং থেকে অভয়ারণ্যটি প্রায় ৯ কিলোমিটার দূরে।

কোথায় থাকবেন –
বন বিভাগের কটেজগুলোতে থাকতেই পারেন, গ্রামবাসীদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় আপনার দিনগুলি মন্দ কাটবে না।

Related Articles