চীনকে গুঁড়িয়ে দিতে ভারতের হাতে শক্তিশালী যুদ্ধবিমান রাফাল, চাপে বেজিং
দীর্ঘ অবসানের পর আজ ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসছে রাফাল যুদ্ধবিমান। ২০১৬ সালে ফ্রান্সের সাথে এই যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৫৯ হাজার কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল ভারতের। সেই চুক্তিরই প্রথম দফার পাঁচটি যুদ্ধবিমান আজ আসছে ভারতে। হরিয়ানার অম্বালায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে রাখা হবে এই রাফাল যুদ্ধবিমান গুলিকে। সব ঠিকঠাক চললে আজ দুপুর দেড়টা থেকে তিনটের মধ্যে ভারতের মাটি ছোঁবে এই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান।
অম্বালায় বায়ুসেনার ঘাঁটিতে অবতরণ করবে এই বিমান গুলি। সেখানে স্বাগত জানাতে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আর কে ভাদোরিয়া। ফ্রান্সের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে গতকাল ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পাঁচটি রাফাল যুদ্ধবিমান। প্রথম দফায় এই পাঁচটি যুদ্ধবিমান আসছে ভারতে। যাত্রা পথের প্রথম ভাগে সাত ঘন্টায় ৭০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বুধবার যুদ্ধবিমান গুলি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আল-ডাফরায় ফরাসি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছায়। সেখান থেকে আজ সকাল ১১টা নাগাদ যুদ্ধবিমান গুলি রওনা দেবে ভারতের উদ্দেশ্যে।
শত্রুর সাথে লড়াইয়ে কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠবে রাফাল?
এতদিন ভারতের হাতে ছিল রেঞ্জ মিসাইল স্কাল্প যার রেঞ্জ ছিল ৩০০ কিলোমিটার, কিন্তু রাফাল শত্রু শিবিরের ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভিতরে ঢুকে আক্রমণ করতে পারে। রাফালের বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ ১৫০ কিমির বেশি। তুলনায় পাকিস্তানের হাতে যেসমস্ত যুদ্ধবিমান আছে সেগুলির বিয়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ ৫০ কিলোমিটার। এছাড়াও, এয়ার টু এয়ার মিসাইল রাফাল যুদ্ধবিমানের অন্যতম শক্তি। এর সাহায্যে ১৫০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটও সহজেই বিদ্ধ করতে পারবে বায়ুসেনা।
১০০ কিলোমিটার জায়গার মধ্যে ৪৫ টি নিশানায় একইসঙ্গে আক্রমণ করতে পারে রাফাল। এই মুহূর্তে পাকিস্তান ও চীনের বায়ুসেনা যে যুদ্ধবিমান গুলি ব্যবহার করছে সেগুলি দিনে ও রাতে উড়তে এবং যুদ্ধ করতে সক্ষম। রাফাল প্রস্তুতকারী সংস্থা দ্যাসো জানাচ্ছে, রাফাল ৪.৫ জেনারেশনের এগুলি omnirole এয়ারক্রাফট। এগুলি প্রয়োজনের থেকেও বেশি কাজ করতে সক্ষম।