বিয়ের ১১ দিন পর বউকে ডিভোর্স দিয়ে শাশুড়িকে বিয়ে করল এই যুবক

বউকে ফেলে শাশুড়ি নিয়ে পালাল এক যুবক, কেন এমনটা ঘটল? কি ছিল এর পিছনের কারন, চলুন জেনে নিই।  মাত্র ১১ দিন আগে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নূরন্নাহার খাতুনের। শ্বশুরবাড়িতে এক…

HoopHaap Digital Media

Updated on:

বউকে ফেলে শাশুড়ি নিয়ে পালাল এক যুবক, কেন এমনটা ঘটল? কি ছিল এর পিছনের কারন, চলুন জেনে নিই।  মাত্র ১১ দিন আগে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল নূরন্নাহার খাতুনের। শ্বশুরবাড়িতে এক সপ্তাহ থাকার পর শুক্রবার বাবার বাড়ি ফিরে আসেন নুরন্নাহার। এর পর দিনই শনিবার বিকালে ঘর ভাঙে তার। বর মোনছের আলী শ্বশুরবাড়ি গিয়ে নববধূ নূরন্নাহারকে তালাক দিয়ে শাশুড়ি মাজেদা বেগমকে বিয়ে করে চলে যায়।

শাশুড়ি মাজেদা এখন মোনছের আলীর স্ত্রী হওয়ায় এলাকায় তুমুল ঝড় বইছে। এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামে। জানা যায়, ধনবাড়ী উপজেলার হাজরাবাড়ীর পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে মোনছের আলী গোপালপুর উপজেলার কড়িয়াটা গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে নূরন্নাহার খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর দিন শাশুড়ি মাজেদা বেগম মেয়ের বাড়ি বেড়াতে যান।

মেয়ের সঙ্গে এক সপ্তাহ সেখানে থাকার পর শুক্রবার মেয়ে ও মেয়ের স্বামীকে নিয়ে নিজবাড়ি ফেরেন। শনিবার সকালে নূরন্নাহার মোনছেরের সঙ্গে সংসার করবেন না বলে জানান। শুরু হয় পারিবারিক কলহ। শাশুড়ি মাজেদা বেগম তখন নূরন্নাহার সংসার না করলে তিনি নতুন জামাতার সংসার করবেন বলে জানান।

এ অবস্থায় অসহায় শ্বশুর নূর ইসলাম গ্রাম্য সালিশ ডাকেন। হাদিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার, ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামসহ এলাকার গণ্যমান্যরা সালিশি বৈঠকে বসেন। সামাজিক বিচারে মাজেদা বেগম ও মোনছের আলীকে মারধর করা হয়। এর পর পুরো পরিবারের সম্মতিতে নূর ইসলাম প্রথমে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে তালাক দেন। এর পর বর মোনছের আলী নবপরিণীতা নূরন্নাহারকে তালাক দেন।

এর পর একই অনুষ্ঠানে সবার উপস্থিতিতে মোনছের আলীর সঙ্গে মাজেদা বেগমের এক লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। হাদিরা ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী জিনাত এসব কাজে যুক্ত ছিলেন। তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, গ্রাম্য মাতবর এবং ওই পরিবারের সব সদস্যের সম্মতিতে দুটি তালাক এবং একটি বিয়ের কাজ একই অনুষ্ঠানে সম্পাদন করা হয়।

ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, পুরো কাজটি হয়েছে ওই পরিবারের সম্মতিতে। তবে শাশুড়ি বিয়ে করার ঘটনায় আপত্তি থাকায় গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মোনছের ও মাজেদাকে শারীরিক শাস্তি দেয়া হয়। ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল কাদের তালুকদার জানান, শাশুড়ি বিয়ের খবরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বাড়ি ঘেরাও করে মারপিট শুরু করেন। খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। পরিবারের সবার সম্মতির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তিনি বিয়ের সম্মতি দেন। এদিকে শাশুড়ি বিয়ের খবরে দুদিন ধরে অনেক মানুষ ভিড় করছেন মোনছের আলীর বাড়িতে।