আমিও একটু আধটু ভূতের ভয় পাই: দিব্যজ্যোতি দত্ত Exclusive Interview
সম্প্রতি ‘চুনি পান্না’ ধারাবাহিকের কাজ শেষ করেছেন টলিপাড়ার অতি পরিচিত মুখ দিব্যজ্যোতি দত্ত। অভিনেতার সঙ্গে তার পরবর্তী পরিকল্পনা ও পুজো প্ল্যান নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠেছিলেন আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি কৌশিক পোল্ল্যে।
প্রথমেই বলুন কেমন আছেন?
-এইতো চলছে, যেরকম ভাবে সবাই আছে কোভিড সিচুয়েশনের মধ্যে।
অভিনয়ের পাশাপাশি আর কি কি করছেন?
-অভিনয়ের আগে থেকে আমি নাচ করতাম। এই কোভিডের জন্য সেখানে একটু পিছিয়ে পড়েছিলাম। লকডাউনের পর নাচের ক্লাস একটাও হয়নি এখনো। আর তো জিম করি। জিমটা তো একদম নেশা। প্যাক-আপের পর জিম না করে বাড়িতে আসি না। আমার একটা ট্রায়াঙ্গুলার সিডিউল আছে, বাড়ি থেকে স্টুডিও যাই, স্টুডিও থেকে জিমে যাই, আবার বাড়ি চলে আসি। এভাবেই চলছে।
‘চুনি পান্না’ ধারাবাহিকের কাজ শেষ হয়ে গেল, পরবর্তী প্ল্যান কি?
– ওটা একটু সারপ্রাইজ থাক।
আপাতত বিরতি তাই কি!
– হ্যাঁ পুজো অবধি বিরতি এটুকু শিওর। যা হবে পুজোর পর।
ব্যক্তিগত জীবনে নির্ভীক ঠিক কেমন?
– আমি আর নির্ভীক অনেকটা আলাদা। দু’চারটে সূক্ষ্ম মিল থাকলেও থাকতে পারে। আমিও একটু আধটু ভূতের ভয় পাই।
সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পেলে কোন অভিনেত্রীর বিপরীতে কাজ করতে চাইবেন?
-ওসব নিয়ে কিছু ভাবিনি এখনো। আমাদের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রত্যেকটি অভিনেত্রীই ‘এক সে বড় কর এক’ সুতরাং যার সঙ্গেই কাজ করি না কেন আমি নিজেকে ধন্য মনে করব।
চলুন একটা র্যাপিড ফায়ার খেলে নেওয়া যাক:-
পাহাড় না সমুদ্র?
– সমুদ্র।
ফেলুদা না ব্যোমকেশ?
– ব্যোমকেশ।
দেবাদৃতা না অন্বেষা?
– দুজনেই।
‘জয়ী’ না ‘চুনি পান্না’?
-দুটোই।
রিভু না নির্ভীক?
-দুটোই, আমার কাছে দুটো চরিত্রই ভীষণ কাছের।
দেবাদৃতা এবং অন্বেষা এই দুই অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করে কার সঙ্গে বেশি কেমিস্ট্রি বিল্ড হয়েছে বলে আপনার মনে হয়?
– এরা দুজনেই দুই রকম। এদের দুজনের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, আর এরা দুজনেই ভীষণ ভালো অভিনেত্রী সেটা সকলেই জানেন। তাই এদের মধ্যে একজনকে বেছে নেওয়া আমার পক্ষে খুবই ডিফিকাল্ট।
পুজোতে কোনটা করা হয় আউটিং নাকি কলকাতায় থেকে ঠাকুর দেখা
– কলকাতায় থেকে ঠাকুর দেখাটাই মোটামুটি হয়। পুজোর ম্যাক্সিমাম টাইমটুকু বাড়িতেই থাকি। যেখানে জয়েন্ট ফ্যামিলি আছে সেখানে যাই।
এবারের পুজো প্ল্যান কি? কি রকম প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিউ নর্মাল পুজোর জন্য?
– এ বারের পুজোটা এমন একটা পুজো যা লাইফে মানুষ প্রথমবার দেখতে চলেছেন। প্রচুর নিয়মবিধিও রয়েছে। এবারের পুজোয় আমি বাড়িতেই থাকবো। পঞ্চমী আর ষষ্ঠীতে একটু কাজ রয়েছে। এই দুদিন বাদে পুরোটাই ফ্যামিলির সঙ্গে সময় কাটাবো।
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন।
– হ্যাঁ তুমিও ভালো থেকো।