Mia Khalifa: লোকে যেন কাপড় ভেদ করে শরীর দেখতে পায়: মিয়া খলিফা
পর্ণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একবার পা রাখলেই চারপাশের পৃথিবী বদলে যায়। একজন পর্ণ তারকা এই ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে এলেও তাঁকে পর্ণ তারকার নজরেই দেখেন সকলে। সানি লিওনি (Sunny Leone) এই ঘটনার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। পর্ণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে তিনি বিদায় জানিয়েছেন অনেকদিন। তবু এখনও অবধি তাঁর জন্য বরাদ্দ কন্ডোমের কমার্শিয়াল। একই পরিণতি মিয়া খলিফা (Mia Khalifa)-র। এখনও তিনি সকলের চোখে পর্ণ তারকা।
অথচ মিয়া মাত্র তিন মাস কাজ করেছিলেন পর্ণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। কিন্তু তাঁর খ্যাতি রীতিমত ছড়িয়ে পড়েছিল। এরপর তিনি পর্ণ ফিল্মে কাজ করা ছেড়ে দেন। এই ঘটনার পর সাত বছর কেটে গেলেও মিয়াকে এখনও সকলে পর্ণ তারকা হিসাবেই চেনেন। তাঁর পর্ণ ভিডিও অ্যাডাল্ট ওয়েবসাইটে শীর্ষ স্থানে রয়েছে। 2019 সালে একটি সাক্ষাৎকারে মিয়া জানিয়েছেন, তিনি পর্ণ ফিল্মে কাজ করা ছেড়ে দিলেও এখনও পর্যন্ত ওই কাজ নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, এখনও মানসিক ভাবে তিনি পর্ণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে আসতে পারেননি। এমনকি তিনি জানিয়েছিলেন, কেন ও কিভাবে তিনি পর্ণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন! কিন্তু এবার সামনে এল আরও চমকপ্রদ তথ্য।
সম্প্রতি মিয়া জানিয়েছেন, ওই সাক্ষাৎকারের পর বহু মহিলা, যাঁরা পাচার হয়ে গিয়েছিলেন অথবা যাঁদের জোর করে পর্ণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আনা হয়েছে, তাঁরা নিজেদের কাহিনী মিয়ার সাথে শেয়ার করেছেন। তাঁরা চান নিজেদের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে। এই কারণে মিয়ার পরামর্শ চেয়েছেন ওই মহিলারা। ফলে মিয়ার মনে হয়, নিজের ঘটনা সকলের সাথে শেয়ার করে তিনি সঠিক কাজ করেছেন। মিয়া পরিবারের সদস্যদের না জানিয়ে পর্ণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। তা মেনে নিতে না পেরে মিয়ার পরিবার তাঁর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে দেন। এই ঘটনায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মিয়া। আজও তাঁর এই সিদ্ধান্ত তাঁকে কষ্ট দেয়।
তবে মিয়া জানিয়েছেন, পর্ণ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেরিয়ে আসার পর সবচেয়ে সমস্যা হয়েছিল জনসমক্ষে আসতে। তাঁর মনে হত, তাঁর জীবনে আর কোনো কিছুই গোপন নেই। এক গুগল ক্লিকেই সকলের সামনে তা উন্মুক্ত হয়ে যায়। অনেকে তাঁর দিকে এমনভাবে তাকাতেন যাতে মনে হত পোশাক ভেদ করে তাঁরা মিয়ার শরীর দেখতে পাচ্ছেন। লজ্জা পেতেন মিয়া। তাঁর এই লড়াই এখনও জারি রয়েছে।
View this post on Instagram