Lifestyle: চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়ে গেলে তৎক্ষণাৎ যা করণীয়
শীতের অলস সকালে হোক বা ক্লান্ত বিকেলের অবকাশে- চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস অনেকেই ফেলেন রোজদিন। কিন্তু গরম চায়ের কাপে চুমুক দিয়েই জিভ পুড়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা কমবেশি সকলেরই আছে। বাকি চা-টুকু শেষ করা তো দূরের কথা আগামী কয়েকদিন জিভের সেই জ্বালা ভোগ করতেও হয়। কিন্তু আমাদের এই জিভের জ্বালা থেকে মুক্তি দেবে ঘরোয়া কিছু উপাদান। আজ্ঞে হ্যাঁ, হেঁসেলের কিছু সাধারণ উপাদান আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী জ্বালা থেকে মুক্তি দেবে। সেগুলি কি কি? দেখে নিন-
(১) বরফ: আমাদের কমবেশি সকলের বাড়িতেই ফ্রিজ থাকে। আর সেই ফ্রিজের ভেতর থাকে বরফ। এই বরফ দিয়েই আপনার জিভে পুড়ে যাওয়ার জ্বালা থেকে মিলবে রেহাই। একটি বরফের কুচি জিভে বেশ কিছুক্ষণ ঘষে নিন। এতে ফোস্কা পড়ার ভয়ও থাকে না। আর এই কারণেই যেকোনো পোড়া জায়গায় বরফ লাগানোর নিদান দেন ডাক্তাররা।
(২) মধু: সকলের বাড়িতেই মোটামুটি মধু থাকে। চা খেতে গিয়ে জিভ পুড়ে গেলে সেখানে একটু মধু ঢেলে মিনিট দুয়েক এভাবেই রেখে দিন। তারপর সেই মধু মুখের ভেতর বুলিয়ে নিন। এতে পোড়া জায়গা ইনফেকশন হওয়া থেকেও রক্ষা পাবে।
(৩) গুঁড়ো দুধ ও চিনি: চা তৈরির এই দুটি উপাদানও পোড়া জিভের জন্য বেশ উপকারী। পুড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে চিনি ও একটু গুঁড়ো দুধ নিয়ে রেখে দিন। এতে মিলবে সুরাহা, কমবে জ্বালা।
(৪) দই: ফ্রিজের ভেতর দই একটি সাধারণ উপদান। আর এই দই কাজে লাগতে পারে, চা খেতে গিয়ে আপনার জিভ পুড়ে গেলে। পুড়ে যাওয়া অংশে একটু দই নিয়ে রাখুন কয়েক মিনিট। এতে ঠান্ডা হয়ে যাবে আপনার জিভের পোড়া অংশ, কমবে জ্বালা।
(৫) নুনজল: ঈষদুষ্ণ গরম জলে নুন ফেলে গার্গেল করলে গলা ও মুখ ভালো থাকে। জিভে এরকম পুড়ে গেলে এই নুনজল দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন। এতে মিলবে সুরাহা।
Disclaimer: প্রতিবেদনটি তথ্যভিত্তিক। যেকোনো শারীরিক সমস্যার আগে বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নিন।