কালী পুজো মানেই ঘরে ঘরে প্রদীপ জ্বলে উঠবে। চারিদিকে একেবারে অন্ধকার পরিস্থিতি কাটিয়ে রোশনাইয়ে ভরে উঠবে সারা আকাশ। এর সাথে দূষণও আসে। উৎসব উদযাপনে পটকা ফাটার সময় যে ধোঁয়া উৎপন্ন হয়, তা পরিবেশ দূষিত করে এবং বায়ু দূষণ ঘটায়। শুধুমাত্র চেয়ে পরিবেশের ওপরে দূষণ ঘটায়। তাই নয়, আমাদের ত্বক এবং চুল কিন্তু দফারফা হয়ে যায়। তাই আর দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন, কিভাবে কালীপুজোর দিনগুলোতে নিজের চুল এবং ত্বককে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন।
আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে তেল মালিশ করুন-
তেল ম্যাসাজ আপনার চুল বাঁচাতে পারে। উৎসবের মরসুমগুলোকে যদি চুলকে খুব সুন্দর রাখতে চান, তাহলে বাজি ফাটানো বা পোড়ানোর আগে বা পরে এইভাবে চুলকে ভালো করে তেল মালিশ করতে হবে। আপনি আপনার চুল ধোওয়ার এক বা দুই ঘন্টা আগে, নারকেল তেল দিয়ে মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তেল মাখালে শুধুমাত্র যে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালনই করবে না, বরং বায়ু দূষণের ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য আপনার চুলকে যথেষ্ট মজবুত করবে।
ছোটবেলা থেকেই মা ঠাকুমাকে দেখে আসছি, যে চুলে তেল মালিশ করতে বর্তমানে ছেলেমেয়েরা চুলে তেল লাগাইনা ভাবে স্টাইল নষ্ট হয়ে যাবে কিন্তু তেল মাখার ফলে চুল অতিরিক্ত রুক্ষ শুষ্ক হয়ে যায় গোড়া থেকে মজবুত হয় না, যার ফলে সহজে কিন্তু চুল উঠে যায়, তাই তো আজকালকার দিনে ছেলেমেয়েদের মাথায় চুল কমে যায়, এমন প্রায়শই দেখা যায়।
ভেজা চুল নিয়ে বাইরে বেরোবেন না –
ভেজা চুলে কখনো বাইরে বেরোতে নেই। ভেজা চুল প্রথমে আগে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নেবেন। এছাড়া কারোর যদি হেয়ার ড্রায়ার থাকে, তারা নর্মাল টেম্পারেচার চুল ভালো করে শুকিয়ে তারপর বাইরে বেরোবেন। ভিজে চুলের বাইরে বেরোলেই কিন্তু বাইরে থাকা ধুলো-ময়লা ভেজা চুলে একেবারে আটকে যাবে আর কালীপুজোর আগে পরে বাতাসে ধুলোর পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। ধুলো ধোঁয়া থেকে যদি চুল কে বাচাতে চান তাহলে অবশ্যই চুলে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পারেন চুল ধোয়ার সময় দুধ, কলা, মধুর একটি পেস্ট বানিয়ে চুল ভালো করে লাগিয়ে দিতে পারেন এছাড়া তুলসীপাতা, কারি পাতা এবং নিমপাতার পেস্ট বানিয়ে ও টক দইয়ের সঙ্গে লাগিয়ে ধুতে পারেন, এতে কিন্তু চুল অনেক বেশি ষ্ট্রং হবে।
কন্ডিশনার হিসেবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন-
কালী পুজোর পরেই চুলের সাথে সাথে ত্বকেও যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে ব্যবহার করতে পারেন ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল। রোদে পোড়া, ফুসকুড়ি এবং সংক্রমণের চিকিৎসা থেকে শুরু করে খুশকি কমানো এবং চুল কন্ডিশনার করা পর্যন্ত, অ্যালোভেরা হল অসাধারণ একটি উপাদান।
সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।
