সদ্য শেষ হল বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দূর্গাপুজো। কাল আর আজ কোজাগরী লক্ষীপুজো। কিন্তু গোটা শহর জুড়ে কোথাওই চোখে পড়ছে না পুজোর সেই চেনা কলকাতার ছবি। করোনা আবহে এবার মনমরা বাংলা। কারণ এবছর করোনার দাপটে সব পন্ড হয়েছে। মাস্ক আর স্যানিটাইজার নিয়ে শুরু হয়েছে নিউ নর্মাল লাইফ। এবছর বাড়ি বাড়ি কোজাগরী লক্ষীপুজো হলেও নেই কোনো আড়ম্বর। নমঃ নমঃ করে সারলেন সবাই বাড়ির পুজো। হাইকোর্ট থেকে নিষেধাঞ্জা জারি হয়েছে পুজোয় শহরের রাস্তায় নেই ভিড়, রোশনাই, জাঁকজমক থাকবেনা। পুজোর মতো একই চিত্র ধরা দিল কোজাগরী লক্ষীপুজোতে।
বাংলার দিদি রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ গোটা বছর তিনি ব্যস্ত থাকেন তাঁর জনপ্রিয় রিয়ালিটি শোয়ের শ্যুট নিয়ে৷ তবে পুজোর সময় প্রতিবার বাইরে কাটালেও এই বছর পরিস্থিতি অন্যরকম। একেবারে নিজের পরিবার ও বন্ধুদের সাথেই তিনি সময় কাটিয়েছিলেন পুজোতে৷ পুজোর পাঁচদিন তিনি যেই বিলাশবহুল ফ্ল্যাটে থাকেন, সেখানেই দুর্গেৎসব পালিত করেছেন। শুধুমাত্র হাতে গোনা কাছের বন্ধুবান্ধব আর ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে পুজোর মন্ডপে রয়েছেন রচনা৷ মাস্ক পরে, দূরত্ববিধি বজায় রেখেই এই পাঁচদিন পুজোয় মেতেছেন অভিনেত্রী।
নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে অভিনেত্রী নিজের পুজো কাটানোর নানান মুহূর্ত নিজেই শেয়ার করছিলেন। কখনো বন্ধুদের সাথে আড্ডায় আবার কখনো পুজোয় শাড়ির স্টাইল হোক কিংবা মাস্কের কালেকশান ছবি পোস্ট করেছেন। আবার কখনো হিন্দী গানে নেচে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
আজ কোজাগরী লক্ষীপুজো! নিজের বাড়িতে পুজো না করলেও নিজের আবাসনের পুজোতে মেতে উঠেছেন দিদি। আর সেই ছবি এবার নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। একটি পোস্টে দেখা গেছে হাল্কা হলুদ তাঁতের শাড়ি আর কালো ব্লাউজে সাথে মানানসই গয়না পড়ে মায়ের দিকে পোজ দিয়ে ছবি তুললেন। কখনো পুজা মন্ডপে তো কখনো ছেলেকে গলা জড়িয়ে পোজ দিলেন। ক্যাপশানে লিখলেন,” শ্রী শ্রী লক্ষী পুজো.. মা সবার মঙ্গল করুক”। নতুন এই পোস্টের সাথেই মুহূর্তেই ভাইরাল। ভক্তেরা দিদিকে কমেন্টস করে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিয়েছেন।