বিয়ের ফুল ফোটার আগেই ইনস্টাগ্রামে তুমুল নাচ গুনগুনের, ভিডিও ভাইরাল নেট দুনিয়ায়
সন্ধ্যে ৭ঃ৩০ টা মানেই টিভির সামনে ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিক। সৌজন্য আর গুনগুনের খুনশুটি, যৌথ পরিবারের ভালোবাসা ইতিমধ্যেই এই ধারাবাহিকের মূল উপজীব্য। জুলাই মাসে এই যৌথ পরিবারের জাদু টেলিভিশনের পর্দায় শুরু হয়েছিল৷ আর এখন এই ধারাবাহিক এই কমাসেই টিআরপিতে সেরা পঞ্চম স্থানে। দুটি বিয়ে, মারপিঠ, চক্রান্ত এসবের আড়ালে অন্য ছকে পরিচালক ভালোবাসার গল্পের মোড়কে এই ধারাবাহিকের চিত্রনাট্য বুনেছেন।
তৃণার অভিনয় দেখার জন্য মুখিয়ে থাকেন প্রতিটি বাঙালী পরিবার। এখন ধারাবাহিকে সৌজন্য আর গুনগুনের বিয়ের ফুল ফুটে গেছে। সৌজন্য যতই গুনগুনকে অসভ্য বলুক মনে মনে অল্প হলেও ভালো লেগেছে। তাই তো যখন তিন্নি গুনগুনের গায়ে চড় মাড়ে তার তীব্র প্রতিবাদ জানায়। আর তৃণা বিয়ের করবোনা করবোনা বলেও বিয়ের আনন্দে মরশুল। তাই তো মনের আনন্দে পাত্রের হলুদ কোটার অনুষ্ঠানে হাজির হন। সবাই তাঁকে সেখান থেকে সরালে ননদিনীকে সঙ্গী করে মনের সুখে নেচে নিলেন।
এদিকে প্রোমোতে দেখানো হল,বিয়ের দিনই গুনগুন পান পাতা সরিয়ে মেজাজ দেখিয়ে সৌজন্যকে মুখ বেকিয়ে বললো শেয়াল পন্ডিত। বিয়ের পিঁড়িতেই বসে শুরু কথা কাটাকাটি। সৌজন্য ছাড়ার পাত্র নয়, গুনগুনের সাজ দেখে বললো জোকার। এই ভাবেই বিয়ের শুরুটাই টক-মিষ্টি সম্পর্কেই শুরু হচ্ছে সৌজন্য ও গুনগুনের বৈবাহিক সম্পর্ক। সেই ভিডিয়ো অবশ্য শেয়ার করলেন গুনগুন নিজেই।তৃণার শেয়ার করা ভিডিয়োরতে এখন নেটদুনিয়ায় শুরু হয়েছে শোরগোল। ছাদনাতলায় পিঁড়িতে গুনগুন আর সৌজন্যের এই খুনিসুটি দেখেই পরিবারের মাথায় হাত। পরিবার কি এই দুইজনের ঝগড়া প্রেমের জোয়ার আনতে পারবে৷ তাহলে সাড়ে সাতটায় দেখতে হবে “খড়কুটো”।
বিয়েদিন মেয়েরা একটু লজ্জা পায়। কিন্তু গুনগুনের এসব নেই। গুনগুন যতই সৌজন্যের সাথে ঝগড়া করুক। কিন্তু সে তো প্রাণখোলা। সবাইকে একসাথে নিয়ে বাঁচতে চায়। তাই তো দুই ননদিনী কে নিয়ে বিয়ের বেনারসীতেই সাসুরাল গেঁন্দা ফুল গানে নেচে উঠলো। অভিনেত্রী তৃণা সাহা তাঁর দুই সহ অভিনেত্রী সোনল মিশরা এবং প্রিয়াঙ্কা মিত্রের সঙ্গে বিয়ের সেটে ইনস্টাগ্রাম রিল ভিডিয়ো বানিয়ে পোস্ট করেছেন তিনি। আর এই রিল ইতিমধ্যে সুপারহিট। নেটিজেনরা প্রশংসা আর থামাতে চাইছেন না।