অভিনেত্রী না হলে ট্রাভেল ব্লগার হতাম: অনামিকা চক্রবর্তী Exclusive Interview
হিয়া এবং উজানের মিষ্টি প্রেমের গল্প ‘এখানে আকাশ নীল’ ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল বাংলা টেলিভিশন জগতে। সেই একই চরিত্র এবং ধারাবাহিকের নাম নিয়ে সিজন ২ ফিরে আসে স্টার জলসার পর্দায় এবং বলাই বাহুল্য দ্বিতীয়বারেও সমগ্র বাংলায় সাড়া ফেলে দেয় ‘এখানে আকাশ নীল’- এর দ্বিতীয় সিজনটি। এই ধারাবাহিকে হিয়ার ভূমিকায় অভিনয় করেন টলিপাড়ার অতি পরিচিত মুখ অনামিকা চক্রবর্তী। সদ্যই শেষ হয়েছে ধারাবাহিকের কাজ। অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতায় পুজো পরবর্তী আড্ডায় মেতে ওঠেন আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি কৌশিক পোল্ল্যে।
পুজো কেমন কাটলো?
– পুজো আমার ভালোই কেটেছে, ফ্যানেদের সঙ্গে ছিলাম, একদিন ঘুরতেও গিয়েছিলাম। বেশ ভালো কেটেছে।
‘এখানে আকাশ নীল’ শেষ পরবর্তী প্ল্যান কি?
-আপাতত আমি একটু ব্রেক নিয়েছি। নিজের উপর বেশি কনসেনট্রেট করছি। কাজ নিয়ে এখনও কিছু কথা হয়নি, দেখা যাক।
অভিনয়ের পাশাপাশি আর কি কি করতে ভালো লাগে?
– ডান্স করতে ভালো লাগে, ট্রাভেল করতে ভালো লাগে।
এখন ডায়েটে আছেন নাকি বাড়িতে ভাত খাওয়া হয়?
– ডায়েটে আছি এখন।
হিয়ার সঙ্গে কি কি মিল ও অমিল রয়েছে?
– হিয়া আর আমি একই। যারা আমাকে দেখেছে, যারা আমাকে চেনে তারা সবই জানে।
নিজেকে তিনটি শব্দে ডেস্ক্রাইব করুন?
– অনেস্ট, ফান লাভিং, অ্যান্ড ডিসিপ্লিনড।
শন ব্যানার্জির সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
– ফ্যান্টাস্টিক।
আর কিছু বলবেন না?
– আমি ওর ব্যাপারে এতই তারিফ করে ফেলেছি শুরু থেকে কিন্তু বলতেই হবে হি ইজ এ ভেরি গুড অ্যাক্টর। রিয়েলি লাইক টু ওয়ার্ক উইথ হিম অ্যান্ড ভেরি কমফর্টিং।
বড়পর্দার কোন চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে রয়েছে?
– আমার ‘ইয়ে জাওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ থেকে ন্যায়নার চরিত্রটা করার খুব ইচ্ছে রয়েছে।
এর আগেও একই নামের ধারাবাহিকে আমরা হিয়ার চরিত্র দেখেছি, নতুন করে সেই একই চরিত্র ফুটিয়ে তোলা কতখানি চ্যালেঞ্জিং ছিল?
– চ্যালেঞ্জিং ঠিক ছিল না তবে ভয় ছিল যে দর্শকেরা গ্রহণ করবেন কি করবেন না যেহেতু সিজন ওয়ান ছিল এবং চরিত্রটাও এক।
এতখানি ভালোবাসা পাবার পর দর্শকদের প্রতি হিয়ার প্রতিক্রিয়া কি?
– আমি খুবই গ্রেটফুল, ডে ওয়ান থেকেই বলি। দর্শকের জন্যই আমি আজকে আছি। ভীষন থ্যাংকফুল দর্শকদের কাছে।
টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে নেপোটিজম রয়েছে? আপনার কি মতামত
– নেপোটিজম আমাদের সবার জীবনেই রয়েছে। ইটস নট অনলি টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি। যেহেতু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি হাইলাইটেড সেই কারণেই এটাকে বেশি করে দেখানো হয় কিন্তু নেপোটিজম সব জায়গাতেই রয়েছে।
অভিনেত্রী না হলে কোন পেশার সঙ্গে যুক্ত হতেন?
– অভিনেত্রী না হলে ট্রাভেল ব্লগার হতাম। ট্রাভেল ব্লগিং করতাম, বা ডান্সার হতাম। ডান্সটা তো প্যাশন, কিন্তু যদি প্রফেশনের কথা বলা হয় তাহলে নিশ্চয়ই ট্রাভেল শো হোস্ট করতাম এবং সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াতাম।
যদি কখনো নেগেটিভ চরিত্র পান সেটাও কি করবেন?
– হ্যাঁ নেগেটিভে যদি ভালো শেডস থাকে তাহলে কেন করব না, অবশ্যই ভেরি স্ট্রং নেগেটিভ ক্যারেক্টার করব যদি কোনো মুভি বা ওয়েব সিরিজে পাই।
দীপাবলিতে নতুন করে কি প্ল্যান রয়েছে?
– সেরকম কোনো প্ল্যান নেই, সবে তো পুজোটাই কাটলো। যদিও আমি বাজি পোড়াই না এবং সবাইকে এটাই বলবো আপনারাও বাজি পোড়াবেন না। ভীষন মাত্রায় পরিবেশ দূষিত হয়। আমার বাড়িতে তিনটে ডগি আছে, বাজি পোড়ালে তাদেরও ভীষণ অসুবিধা হয়। আমরা বাড়িতে প্রদীপ জ্বালাই ব্যাস এটুকুই।
ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।
– মোস্ট ওয়েলকাম।